যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত সশস্ত্র বাহিনী: প্রধানমন্ত্রী
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২২, ১০:৫৩ এএম
মঙ্গলবার সকালে শেখ রাসেল সেনানিবাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও
যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত। তারা দুর্যোগ মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের অবকাঠামো এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকালে শেখ রাসেল সেনানিবাস’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। জাজিরা শরিয়তপুরে এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতাকে রক্ষা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে নিজেদের সবসময় প্রস্তুত রাখতে হবে।
[caption id="attachment_342394" align="alignnone" width="1600"] মঙ্গলবার সকালে শেখ রাসেল সেনানিবাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও[/caption]অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শেখ কামাল ‘বাংলাদেশ প্রথম যুদ্ধ প্রশিক্ষণ কোর্সে’ কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছিল। যুদ্ধাকালীন প্রধান সেনাপতির এডিসি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিল। শেখ জামাল সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেছিল। যুদ্ধের পোশাকে সশস্ত্র অবস্থায় তার একটি ছবি ১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। শেখ জামাল ১৯৭৫ সালে রয়্যাল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ডহার্স্ট থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ শেষে কমিশন লাভ করে। ছোট ভাই রাসেলের ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে ‘আর্মি অফিসার’ হবে। মাওয়া ও জাজিরা সেনানিবাসকে ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ হিসেবে নামকরণ করার জন্য সেনাবাহিনী প্রধানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ এর সব কর্মকর্তা, জেসিও এবং অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে ভবিষ্যতে ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ জানান তিনি।