×

অপরাধ

প্রেমের ফাঁদে বিয়ে, তালাকের পর তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২২, ১০:১৩ এএম

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় তরুণীকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যের ছেলে ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। শুধু ধর্ষণই নয়, পিটিয়ে তরুণীর মাথাও ফাটিয়ে দিয়েছে তারা। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার মামলা হলেও রবিবার (২৭ মার্চ) এলাকায় জানাজানি হয়।

মামলার প্রধান অভিযুক্ত যুবকের নাম ফুয়াদ শেখ। সে তরুণীর দ্বিতীয় স্বামী ছিল। সে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের সিংহপ্রতাব গ্রামের ইউপি সদস্য শাহজাহান শেখের ছেলে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের কিছুদিন পরই ওই তরুণীকে তালাক দেয় ফুয়াদ। কিন্তু তারপরও তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে ফুয়াদ। এ ঘটনায় আদালতে ধর্ষণের একটি মামলা করেন ওই তরুণী। তবে মামলার পর আসামিরা তরুণীর পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।

ধর্ষণের শিকার তরুণীর মা জানান, পাঁচ বছর আগে তার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল পার্শ্ববর্তী নগরকান্দার এক ছেলের সঙ্গে। বিয়ের পর তাদের সুখেই সংসার চলছিল। মেয়ের একটি ছেলেসন্তানও রয়েছে। তবে শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়ে যখন তাদের বাড়ি আসতো তখন তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করত ফুয়াদ শেখ। একপর্যায়ে মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সে।

তিনি আরও জানান, দেড় মাস আগে তার মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে স্বামীকে তালাক দেয়ায় ফুয়াদ। পরে সে তাকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে। মাসখানেক যেতে না যেতেই গত ১০ মার্চ মেয়েকে তালাক দেয় ফুয়াদ। বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। এর মধ্যেই ১২ মার্চ মেয়েকে বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় ফুয়াদ ও তার সহযোগী সিংহপ্রতাব গ্রামের সাইদুর রহমান সাহিদ শেখ, জাকির মাতুব্বর, মুরাদ খালাসী ও জাফর শেখ। পরে ফরিদপুর শহরের মহাবিদ্যালয়ের পাশে থাকা জাকিরের বাসায় আটকে রেখে টানা আট দিন ধর্ষণ করে ফুয়াদ। এতে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনাটি নিয়ে মামলা করতে চাইলে ফুয়াদ তার সহযোগীদের বাসায় ডেকে নিয়ে গত ১৯ মার্চ রাতে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। শুধু ধর্ষণ নয়, তাকে মারধর ও মাথা ফাটিয়ে দিয়ে পরদিন বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায়।

তরুণীর মা জানান, ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে তার মেয়ে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত আসামিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হোতা ফুয়াদ শেখের বাবা ইউপি সদস্য শাহজাহান শেখ বলেন, ঘটনাটি সাজানো। হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফরিদপুর পিবিআইর পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশনা হাতে পেলে তদন্ত কাজ শুরু করব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App