×

সম্পাদকীয়

ডায়রিয়ার প্রকোপ : এখনই প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২২, ০১:০২ এএম

ডায়রিয়ার প্রকোপ : এখনই প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে

হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীসহ সারাদেশে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বাড়ছে নানা রোগব্যাধি। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত ৭ দিনে ৭ হাজার ৯৯৩ রোগী ভর্তি হয়েছেন, যার দৈনিক গড় সংখ্যা ১ হাজার ১০০-এরও বেশি। এর মধ্যে শনিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৮০১ রোগী ভর্তি হয়েছেন। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় এই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ৫০ জনেরও বেশি রোগী। এমন পরিসংখ্যান ভয়ংকর। আক্রান্তদের বেশিরভাগই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, শনিরআখড়া, মোহাম্মদপুর, টঙ্গী, উত্তরা, আজিমপুরসহ নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা থেকে আসা। এভাবে রোগী বাড়তে থাকলে মহামারির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। বছরে দুবার ডায়রিয়া মৌসুম আসে। একবার মার্চ-এপ্রিল। এ সময়কে ডায়রিয়ার প্রি-মৌসুম বলা হয়। দ্বিতীয়বার আগস্ট-অক্টোবর মাস। এই সময়কে পোস্ট মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এ সময় রোগীর চাপ বেশি থাকে। আর গরমের সময়ে ডায়রিয়ায় শিশুদের সংখ্যা থাকে কম, বড়রা বেশি আক্রান্ত হন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়ার প্রেক্ষাপটে স্বাভাবিক কারণেই বেশকিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা প্রহণের প্রয়োজন পড়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মানুষের করণীয় কিছু নেই, তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ডায়রিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এসব সতর্কতামূলক ব্যবস্থার মধ্যে পানি ফুটিয়ে পান করা অন্যতম। এছাড়া ডায়রিয়া হলে স্যালাইন ও অন্যান্য তরল খাবার, যেমন ডাবের পানি, চিড়া ভিজিয়ে তার পানি, ডালের পানি, ভাতের মাড়, চালের গুঁড়ার জাউ ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। রাস্তার পাশের খোলা খাবার বা শরবতজাতীয় পানীয় পরিহার করতে হবে। যে কোনো খাবার গ্রহণের আগে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করাও ডায়রিয়া প্রতিরোধের অন্যতম উপায়। ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে বৃদ্ধ ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। শিশুদের ক্ষেত্রে মায়ের দুধসহ অন্যান্য খাবার তাদের যথেষ্ট পরিমাণে খাওয়ানোই সমীচীন। পাশাপাশি কলা, চিড়া ও ডাবের পানি খাওয়াতে হবে। আর পানিশূন্যতা দেখা দিলে স্যালাইন খাওয়াতে হবে। তবে কোনোভাবেই বাসি খাবার দেয়া যাবে না। সাধারণ ডায়রিয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক না দেয়ারও পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক। সর্বোপরি জনসাধারণকে ডায়রিয়া রোগ সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। হাসপাতালে যেসব বৃদ্ধ ও শিশু ভর্তি হচ্ছে তারা বেশিরভাগই দরিদ্র। তাদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ ও সময়মতো চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের চিকিৎসায় গুরুত্ব দিতে হবে এ সময়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App