তুরস্কে উৎসবমুখর আবহে স্বাধীনতা দিবস পালিত
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২২, ১২:৩৮ এএম
শনিবার তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মস্যুদ মান্নান দূতাবাস প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। ছবি: ভোরের কাগজ
উৎসবমুখর আবহে ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তুরস্কের আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান ৫১তম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মস্যুদ মান্নান দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্য দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়।
দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাসের ৭১ মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।
রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা কোরআন তিলাওয়াত করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত মস্যুদ মান্নান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাস বিষয়কমন্ত্রী ও মিশন উপ-প্রধান শাহ্নাজ গাজী।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে শিশু-কিশোররা বিভিন্ন দেশাত্মবোধক ছড়া-কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করে। এছাড়া দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশের উন্নয়নের ওপর নির্মিত প্রমান্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মস্যুদ মান্নান এবং মন্ত্রী ও মিশন উপ-প্রধান শাহ্নাজ গাজী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওপর পৃথক পৃথক কবিতা আবৃত্তি করে শোনান। পরে মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত মস্যুদ মান্নান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপট বর্ণনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য নেতৃত্বের গুণ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য তার অতুলনীয় অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে সামগ্রিক উন্নয়নের চিত্র এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রসরতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ ছাড়া তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে সম্পোর্কন্নোয়নে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন এবং সকলেই এতে সামিল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
পরে রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সব শিশুদের মাঝে উপহার বিতরণ করা হয়। রাষ্ট্রদূত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের বিভিন্ন কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে করার জন্য দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাংলাদেশ ও তুরস্কের দুই মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কামাল আতাতুর্কের প্রতিকৃতি সংবলিত বিশেষ ‘টাই’ উপহার দেন। রাষ্ট্রদূত আমন্ত্রিত অতিথিদের অংশগ্রহনে স্বাধীনতা অর্জনের এ দিন উপলক্ষে আনন্দঘন পরিবেশে একটি কেক কাটেন।