×

আন্তর্জাতিক

রুশ আগ্রাসনের মুখে পশ্চিমা নেতাদের ঐক্য

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২২, ০৩:৩৭ পিএম

রুশ আগ্রাসনের মুখে পশ্চিমা নেতাদের ঐক্য

ইইউ কমিশনের প্রধানের সঙ্গে বাইডেন

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জি-সেভেন ও ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাসেলসে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার পর নিরাপত্তা ও জ্বালানির মতো ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তনের জন্য চাপ বাড়ছে।

ইইউ, জি-সেভেন ও ন্যাটোর মতো রাষ্ট্রজোটের প্রাসঙ্গিকতা ও ঐক্যের অভাব নিয়ে কিছুদিন আগ পর্যন্তও নানা সংশয় দেখা যেত, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার পর নিন্দুকেরা পিছু হঠতে বাধ্য হচ্ছে। তিন রাষ্ট্রজোটই অভূতপূর্ব ঐক্য দেখিয়ে দ্রুত একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং আরও খারাপ পরিস্থিতির আশঙ্কায় প্রস্তুতি চালাচ্ছে। অ্যাটলান্টিকের দুই প্রান্তের মধ্যে ঐক্যও ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলের অনিশ্চয়তা দূর করতে পেরেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার ইইউ, জি-সেভেন ও ন্যাটোর জরুরি শীর্ষ সম্মেলন ও সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপস্থিতি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিও ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ন্যাটো ও ইইউ-র শীর্ষ নেতাদের কাছে বক্তব্য রাখছেন। খবর ডয়েচে ভেলের।

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার সূচনার ঠিক এক মাস পর ব্রাসেলসে মিলিত হচ্ছেন দুই জোটের শীর্ষ নেতারা। আলোচনায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আরও কড়া শাস্তি, ইউক্রেনের জন্য আরও সহায়তা এবং ইউরোপের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা আরও জোরালো করার মতো বিষয়গুলিই প্রাধান্য পাচ্ছে। বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর স্থায়ী সামরিক তৎপরতার প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। এর ফলে রাশিয়ার সঙ্গে বোঝাপড়া লঙ্ঘন করা হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এমন চরম পদক্ষেপের জন্য চাপ বাড়ছে। বৃহস্পতিবার রাতে বাইডেন এক সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে পারেন।

আপাতত রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, রুমেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় চারটি নতুন ‘ব্যাটল গ্রুপ’ মোতায়েনের ঘোষণা করেছেন। তবে ইউক্রেনের দাবি মেনে সে দেশের উপর ‘নো ফ্লাই জোন’ কার্যকর করতে এখনো নারাজ এই রাষ্ট্রজোট। সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সংঘাত এখনো এড়িয়ে চলতে চায় ন্যাটো। তবে বাইডেনের আশঙ্কা, রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে। এমনকি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না মস্কো। ফলে ন্যাটোকে শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার মোকাবিলা করতেই হবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেক মুখপাত্র।

রাশিয়ার উপর আরও নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে ঐকমত্যের অভাব রয়েছে। বিশেষ করে গ্যাস ও পেট্রোলিয়ামের মতো জ্বালানি আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করার প্রশ্নে জার্মানির মতো দেশ এখনো এমন চরম পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুতি নয়। রাতারাতি এমন সিদ্ধান্ত নিলে জার্মানি তথা ইউরোপের অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করছে ওলাফ শলৎসের সরকার। ধাপে ধাপে সেই দিশায় অগ্রসর হতে চায় জার্মানি। অন্যদিকে ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মূলত পূর্ব ইউরোপের দেশগুলি পুতিনের আয়ের গুরুত্বপূর্ণ এই উৎস বন্ধ করে দেবার জন্য চাপ দিচ্ছে। একমাত্র এভাবেই রাশিয়ার অর্থনীতিকে পুরোপুরি বিপর্যস্ত করে পুতিনের ক্ষমতা খর্ব করা সম্ভব বলে তারা মনে করে। স্পেন, পর্তুগাল, ইটালি ও গ্রিস জ্বালানির ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর নির্ভরতাকমাতে জরুরি ভিত্তিতে ইউরোপীয় স্তরে সমন্বয়ের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেবার জন্য চাপ দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মার্কিন সহায়তারও আশা করছে ইইউ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App