×

সারাদেশ

লাইটার জাহাজডুবি: মরদেহে থাকা মোবাইল দেখে নাবিক শনাক্ত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২২, ০৮:০৮ পিএম

লাইটার জাহাজডুবি: মরদেহে থাকা মোবাইল দেখে নাবিক শনাক্ত

সোমবার দুপুর ১টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের অদূরে বঙ্গোপসাগর উপকূল থেকে লাশটি উদ্ধার করে নৌপুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পণ্যবাহী লাইটার জাহাজডুবির ঘটনায় নিখোঁজ চারজনের মধ্যে একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। মরদেহটি জাহাজটির লস্কর হানিফ শেখের (২৫)। তিনি ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধলাইয়ার চর এলাকার হান্নান শেখের ছেলে। এ ঘটনায় এখনো তিনজন নাবিক নিখোঁজ রয়েছেন।

সোমবার (২১ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটিয়ারি স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের অদূরে বঙ্গোপসাগর উপকূল থেকে লাশটি উদ্ধার করে নৌপুলিশ। পরে ডুবে যাওয়া এমভি টিটু-১৪ নামের লাইটার জাহাজটির মাস্টার শেখ ফরিদ মরদেহের পকেটে থাকা মোবাইল দেখে হানিফকে শনাক্ত করেন।

নৌপুলিশের কুমিরা ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক একরাম উল্লাহ বলেন, ‘ভাটিয়ারির সমুদ্র উপকূলে লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি লাশটি উপুড় হয়েছিল। পরনে ছিল সাদা ট্রাউজার। মুখ ফুলে বিকৃত হয়ে গেছে। ট্রাউজারের পকেটে একটি মোবাইল পাওয়া যায়। পরে ডুবে যাওয়া জাহাজের মালিক পক্ষকে খবর দিই।’

তিনি বলেন,‘জাহাজটির মাস্টার শেখ ফরিদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি মোবাইল ও চুল দেখে জাহাজের লস্কর হানিফ শেখের লাশ বলে শনাক্ত করেন। লাশটি জোয়ারের সময় উপকূলে এসে আটকে ছিল। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গত শুক্রবার বহির্নোঙরে একটি বড় জাহাজ (মাদার ভেসেল) থেকে সিমেন্টের ক্লিংকার বোঝাই করে পতেঙ্গা চরপাড়ার কাছে নোঙর করার জন্য রওনা হয় এমভি টিটু-১৪। রাত সাড়ে ৩টার দিকে চরপাড়ার কাছে একটি খননযন্ত্র পাশ কাটিয়ে যাওয়ার পর বালুবাহী নৌযানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে জাহাজটির। এতে জাহাজটি ফুটো হয়ে দ্রুত ডুবে যায়। জাহাজটিতে ১২ জন নাবিক ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App