র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায় ঢাকা, জটিল বলছে যুক্তরাষ্ট্র
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২২, ০২:৫০ পিএম
রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৮ম রাজনৈতিক সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল ও বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ছবি: ভোরের কাগজ
বৈশ্বিক নিরাপত্তায় বাংলাদেশকে নিয়ে পথ চলতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি র্যাবের বিষয়ে দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়েছে ঢাকা। জটিল বিষয় হলেও র্যাবের ইস্যুটি দেখবে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাজধানীতে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের অংশীদারি সংলাপের আগে এ কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড।
রবিবার (২০ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৮ম রাজনৈতিক সংলাপ শুরু হয়।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ফলে বৈশ্বিকভাবে গণতন্ত্র ও আন্তর্জাতিক আইন এখন হুমকির মুখে। এমন পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার সকল অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এরপর বেলা ১১টায় শুরু হয়ে একটা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা ধরে চলে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র সংলাপ। এতে নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন।
পরে পৌনে দুইটায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক এগিয়েছে। আগামীতে আরও শক্তিশালী হবে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বিষয় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, র্যাবের ওপর শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জাতিসংঘও র্যাবের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। তবে বাংলাদেশ র্যাব বিষয়ে গত তিনমাসের কর্মকাণ্ড নিয়ে যে পরিসংখ্যান দিয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এটা জটিল বিষয় তবুও তারা দেখবে। আগামী ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।
ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মিলিটারি ইস্যুতে জিসমিয়া ও আকসা নিয়ে দুটি চুক্তির খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যা আগামীতে চুক্তিতে রুপ নিতে পারে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের আওতায় নিরাপত্তা, অর্থনীতি, বাণিজ্য, প্রযুক্তিও অবকাঠামো উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে চাই।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে আমাদের পদক্ষেপ তাদের বিস্তারিত জানিয়েছি। সামনে অগ্রগতি হবে।
সংলাপে অংশ নিতে শনিবার ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক আন্ডার সেক্রেটারি। তার নেতৃত্বে সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন দেশটির ছয় সদস্যের একটি দল।