×

সারাদেশ

নারায়ণগঞ্জে শিশু হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২২, ০২:৩৮ পিএম

নারায়ণগঞ্জে শিশু হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শিশু ইমন হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত আইনজীবী জাসমিন আহমেদ জানান।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালে জমির বিরোধ নিয়ে শিশু ইমনকে হত্যা করা হয়। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তিনজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে।

এর আগে আইনজীবী জানিয়েছিলেন, আদালত সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনের বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

পরে এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “আমার তথ্যগত ভুল হয়েছিল। বিচারকের স্বাক্ষর করা আদেশে চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবনের কথা বলা হয়েছে।”

নিহত ইমন হোসেন (১৩) ফতুল্লার চরাঞ্চল বক্তাবলীর কানাইনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চর রাধানগর এলাকার ইসমাইল হোসেন ওরফে রমজান মিয়ার ছেলে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ইমনের আত্মীয় আবদুস সামাদের ছেলে সিরাজ (৪৫), আহম্মদ আলী (৫৫), আমান উল্লাহর ছেলে নাহিদ (২১), সেন্টু মিয়া (২৫) ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিরাজুল ইসলাম সিরাজের স্ত্রী সালমা (৪২) ও আহমেদের স্ত্রী হুসনা (৪৭)।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মন্টু মিয়া (২২), আমান উল্লাহর স্ত্রী আয়েশা (৪০), সিরাজুল ইসলাম সিরাজের ছেলে মামুন (২৪) ও আহম্মদের ছেলে খোরশেদ আলম (১৮)।

কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, শিশু ইমন হত্যায় ৪ জনকে ফাঁসির আদেশ, ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৪ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

জানা যায়, ২০১১ সালে ইমনের বড় ভাই ইকবালের (সিঙ্গাপুর প্রবাসী) সঙ্গে চাচা আহম্মদ আলীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ইকবালের লাঠির আঘাতে আহাম্মদ আলীর মাথা ফেটে যায়। এরপর থেকেই তাদের দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে ছিল। ওই ঘটনার পরে ইকবালকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ায় তাকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দেয় পরিবার। প্রায় দুই বছর পর ইকবালের পরিবারের ওপর প্রতিশোধ নিতে ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে আহাম্মদ আলী। সে অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ১৩ জুন ইমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ ৯ টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ২২ জুন বাড়ির কাছে একটি ক্ষেত থেকে টুকরা করা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App