×

জাতীয়

টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু, পাবে এক কোটি পরিবার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২২, ০৮:৪০ এএম

দেশব্যাপী এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবি পণ্য বিক্রি আজ রবিবার থেকে শুরু হয়েছে। আর দুই কিস্তিতে এই পণ্য এসব পরিবারকে দেয়া হবে। প্রথম কিস্তি পাবে ২০ থেকে ৩০ মার্চ এবং দ্বিতীয় কিস্তি পাবে ৩ থেকে ২০ এপ্রিল। টিসিবির এ বিক্রয় কার্যক্রম চালানো হচ্ছে এক হাজার ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রাথমিকভাবে এক কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

আজ রবিবার ঢাকা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন বাদে প্রায় ৮৭ লাখ নিম্ন আয়ের পরিবারকে এ পণ্য দেয়া হবে। রংপুর থেকে শুরু হবে এ কার্যক্রম, সারাদেশে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ঢাকা ও বরিশালে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

টিসিবি জানায়, দেশব্যাপী এক কোটি পরিবারের তালিকা চূড়ান্ত করেছে সরকার। এর মধ্যে ফ্যামিলি কার্ডের পেয়েছেন, করোনাকালীন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে নগদ সহায়তা দেয়ার যে ডাটাবেজ প্রণয়ন করা হয় তার মধ্যে ৩০ লাখ পরিবার, সারাদেশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ৫৭ লাখ ১০ হাজার উপকারভোগী পরিবার। এর বাইরে ঢাকা সিটি করপোরেশনে ১২ লাখ এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনে ১০ হাজার উপকারভোগী রয়েছে। এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হবে। উপকারভোগী নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনসংখ্যা, দারিদ্র্যের সূচক বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

আগামী ২০ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ১ম পর্বে ১ কোটি উপকারভোগী পরিবার প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, প্রতি কেজি ৫৫ টাকায় চিনি এবং ৬৫ টাকায় মসুর ডাল পাবেন। প্রত্যেক পণ্য দুই কেজি পাবে এক পরিবার। দ্বিতীয় পর্যায় ৩ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ৩টি পণ্যের সঙ্গে ৫০ টাকা কেজিতে ২ কেজি ছোলা বিক্রি হবে। এছাড়া এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসন সহযোগিতা দেবে।

গত ৮ মার্চ থেকে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে পণ্য পাঠানো শুরু হয়েছে এবং প্রতিটি জেলায় টিসিবির পণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পৌঁছে গেছে। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি জেলায় খাদ্য অধিদপ্তর, বিএডিসি ও নির্ধারিত গুদামে টিসিবির পণ্যসমূহ গ্রহণ, প্যাকিং চলছে। ২০ মার্চ থেকে পণ্য বিক্রয়ের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। একজন কার্ডধারী ক্রেতা রোজার আগে এবং রোজার মধ্যে দুই দফা পণ্য পাবেন। প্রতিটি ট্রাক থেকে ২৫০ পরিবারের জন্য পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রথমে তিনটি পণ্য দেয়া হবে এরপর ছোলাও বিক্রি করা হবে। তবে ৮০ টাকা দরে খেজুর বিক্রি হবে শুধু ঢাকাতে। পাশাপাশি এখন পেঁয়াজ মজুত আছে, ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। টি?সি?বির পেঁয়াজ ৩০ টাকা নির্ধারিত রয়েছে। পরে বাজারমূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হবে। প্রতিটি পরিবার ১১০ টাকা দামে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা দামে ২ কেজি চিনি, ৬৫ টাকা দামে ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫০ টাকা দামে ২ কেজি ছোলা পাবেন।

রাজধানীর কারওয়ানবাজারে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সভাকক্ষে শুক্রবার টিসিবি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব তথ্য জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

টিপু মুনশি বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দিতে দেশব্যাপী সুবিধাভোগী পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, তাদের ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছে সরকার। তবে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ১২ লাখ এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৯০ হাজার পরিবারকে কার্ড দেয়া সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, এ দুই নগরীর মানুষকে ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সেলের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য দেয়া হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী এসব পণ্য দেশব্যাপী সুষ্ঠুভাবে বিক্রির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, প্রকৃত প্রাপক যেন টিসিবির এসব পণ্য পান, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তিনি জানান, ফ্যামিলি কার্ডের বাইরে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবির ট্রাক সেল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বর্তমানে পর্যাপ্ত মজুত আছে। তাই পবিত্র রমজান মাসে পণ্যের কোনো সংকট হবে না।

তপন কান্তি ঘোষ জানান, এক কোটি পরিবারকে ন্যায্যমূল্যে তেল-চিনি-ডাল পৌঁছে দিতে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। একসঙ্গে পণ্যের প্যাকেট পাবেন কার্ডধারীরা। প্রতি প্যাকেটে থাকবে দুই লিটার ভোজ্যতেল, দুই কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১১০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৫৫টাকা, মসুর ডাল ৬৫টাকা, পেঁয়াজ ৩০ টাকা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App