×

জাতীয়

প্রচলিত আইনগুলো বাংলায় প্রকাশ করতে কমিটি গঠন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২২, ০৯:০৪ পিএম

সর্বাধিক প্রচলিত আইনগুলোর নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রকাশ করতে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে আদালতে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য মৌলিক আইনগুলোর নির্ভরযোগ্য বাংলায় প্রকাশ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

সোমবার (১৪ মার্চ) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। কমিটিতে বাংলা একাডেমি, আইন কমিশন, ঢাবি আইন অনুষদ ও বাংলা বিভাগকে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দেশের সর্বাধিক মৌলিক আইনসমূহ বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশ করতে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয় । সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে নোটিশটি পাঠান মো. শিশির মনির। নোটিশদাতা ১০ আইনজীবী হলেন মোস্তাফিজুর রহমান, মীর ওসমান বিন নাসিম, মো. আসাদ উদ্দিন, মোহা. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জোবায়েদুর রহমান, মো. আব্দুস সবুর দেওয়ান, আল রেজা মো. আমির, আব্দুল্লাহ হিল মারুফ ফাহিম, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও মো. জহিরুল ইসলাম।

আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়, আদালতের সব ধরনের কার্যাবলি আইনের আলোকে পরিচালিত হয়। আদালতের কার্যক্রম সংক্রান্তে মৌলিক আইনগুলো- দণ্ডবিধি-১৮৬০, সাক্ষ্য আইন -১৯৭২, চুক্তি আইন-১৮৭২, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-১৮৭৭, সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট- ১৮৮৭, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন-১৮৮২, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮, দেওয়ানি কার্যবিধি ও তামাদি আইন- ১৯০৮, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (আপিল বিভাগ) রুলস ১৯৮৮, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (হাইকোর্ট বিভাগ) রুলস ১৯৭৩, ক্রিমিনাল রুলসের অর্ডার্স-২০০৯, সিভিল রুলস রুলস অর্ডারসহ অধিকাংশ আইন ব্রিটিশ আমলে ইংরেজি ভাষায় প্রণীত।

নোটিশে আরও বলা হয়, আদালতে ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এসব আইনের গুরুত্ব ও ব্যবহার সর্বাধিক। এ আইনগুলোর বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশব্যতিত আদালতের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা ব্যবহারের আইনি বিধান সম্পূর্ণ অর্থহীন এবং অযৌক্তিক। এখন পর্যন্ত এসব মৌলিক আইনের কোনো নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রণয়ন করা হয়নি। সর্বস্তরে বিশেষত আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের স্বার্থে উক্ত মৌলিক আইনসমূহের বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠপ্রকাশ অত্যাবশ্যক।

গত এক দশকে নিম্ন ও উচ্চ আদালতে বাংলায় রায় ও আদেশের সংখ্যা ছিল কম। এখন নিম্ন আদালতে বাংলায় রায় ও আদেশ হয় । এখন উচ্চ আদালতেও বাংলায় রায় ও আদেশের সংখ্যা বাড়ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App