থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগে কোতয়ালী থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত গত বৃহস্পতিবার মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ আদেশ দেন।

সোমবার (১৪ মার্চ) সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। এছাড়া এ মামলায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে সেখানে সাত দিনের মধ্যে মামলার বাদী স্বর্ণ ব্যবসায়ী রাজিব কর রাজুকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার আদেশ দেন আদালত।

গত ২ মার্চ রাজু আদালতে মামলার আবেদন করেন। আসামি করা হয়েছে- কোতয়ালী থানার এসআই মিজানুর রহমান ও জলিল এবং এএসআই ফরিদ ভূঁইয়াকে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে এসআই মিজান ও এএসআই ফরিদ ভূঁইয়া সাদা পোশাকে বাদীর বাসায় সিলিং ভেঙে প্রবেশ করে। কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আসামিরা বাদীকে হাতকড়া পরিয়ে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। এরপর ভিকটিমের বাসা থেকে ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩৮ টাকার স্বর্ণ এবং তার মায়ের চোখ অপারেশন করার ৪১ হাজার ৩০০ টাকাসহ মোবাইল, ল্যাপটপ কোতয়ালী থানায় নিয়ে যায়।

এছাড়া বাদীকে থানায় নিয়ে আসামিরা তার ওপর নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের কারণে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসা শেষে তাকে আবার থানায় নেয় আসামিরা। এরপর তাকে পাঁচ লাখ টাকা দিতে বলে। না হলে অস্ত্র ও মাদক মামলার আসামি বানিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা বাদীকে আবারও নির্যতন করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার দুই দফায় দুই লাখ টাকা দেয় আসামিদের। নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে ভিকটিম প্রায় এক বছর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ বিষয়ে ভিকটিম কোতয়ালী থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে তাকে ঘোরাতে থাকেন। পরবর্তীতে সবার পরামর্শে থানায় মামলা করেন বাদী রাজু।