রাজধানীর বনানীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাজী আমিনুল হক (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় সুমন মিয়া (৩৫) নামে আরেক যুবক আহত হয়েছে। অপরদিকে, মিরপুর শাহআলীতে মোটরসাই‌কেল দুর্ঘটনায় সামান্তা আলম যুথী (১৯) নামের এক কলেজ ছাত্রী নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বনানী বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সের (বিসিপিএস) সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আর রাত একটার দিকে ঘটে শাহআলীর দুর্ঘটনা।

বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তারা দুজন একটি মোটরসাইকেলে করে মহাখালী আমতলী থেকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলো। তাদের মোটরসাইকেল গতি ছিল বেপরোয়া। কলেজটির সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি আইল্যান্ডের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে দুজন ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আমিনুল। আর আহত সুমনকে উদ্ধার করে রাতেই ঢাকা মেডিকেল নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় রাখা হয়েছে।

নিহত আমিনুলের বাবার নাম কাজী আলিমুল হক। মহাখালী স্কুল রোডে পাশাপাশি বাসা তাদের দুজনের। পেশায় তেমন কিছুই করতো না আমিনুল। আর আহত সুমন গুলশান-২ এ হকার করে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে, মৃত সামান্তা গোপালগঞ্জ জেলার কাষিয়ানী উপজেলার নুরুল ইসলাম টিপুর মেয়ে। বর্তমানে মিরপুর দিয়াবাড়ি এলাকায় পরিবারের সাথে থাকতো। এবং ইউসেফ ইনস্টিটিউট ওফ টেকনোলজি ইলেক্ট্রিক বিষয়ে ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিল।

দারুস সালাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, গতকাল তার কলেজ থেকে কুমিল্লায় যায় বনভোজনে। রাতে সেখান থেকে বাসে করে ঢাকায় ফিরে। মাজার রোডে নেমে সেখান থেকে সহপাঠি নিলয়ের মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফেরার সময় শাহআলী মাজারের সামনে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হয় সামান্তা। পরে নিলয় নিজেই সামান্তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনায় নিলয় সামান্য আহত হয়েছে। তাকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।