যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য এক হাজার ৩৬০ কোটি ডলারের সামরিক ও মানবিক সহায়তা প্যাকেজ মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন পেয়েছে। আজ শুক্রবার (১১ মার্চ) মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটস প্রেস (এপি) বিষয়টি জানিয়েছে।

অ্যাসোসিয়েটস প্রেস (এপি) জানায়, বৃহস্পতিবার সব মিলিয়ে এক লাখ ৫০ হাজার ডলারের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটের পক্ষে ৬৮ ও বিপক্ষে ৩১ ভোট পড়েছে।

ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট ও বিরোধী রিপাবলিকানদের মধ্যে এ বছর মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি নীতিমালা ও মহামারির বিভিন্ন বিধিনিষেধ প্রত্যাহার নিয়ে দ্বিমত থাকলেও ইউক্রেন বিষয়ে তারা একমত হতে পেরেছেন।

সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার ভোটগ্রহণের আগে বলেন, আমরা ইউক্রেনীয়দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তাদেরকে পুতিনের বিরুদ্ধে একা লড়তে হবে না। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে প্রস্তাব পাশ হলে আমরা সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারবো।

এক হাজার ৩৬০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা) অর্ধেক খরচ করা হবে ইউক্রেনকে অস্ত্র এবং রসদ সরবরাহ ও পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য দেশে মার্কিন সেনা মোতায়েনের জন্য।

যে দেশগুলো তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত, তাদের সাহায্য করতে সেনা মোতায়েন করা হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে অ্যাসোসিয়েটস প্রেস (এপি)। মার্কিন বার্তাসংস্থাটি আরও জানায়, বাকি অর্থের বেশিরভাগই খরচ হবে মানবিক ও অর্থনৈতিক সহায়তায়।

ইউক্রেনের প্রতিবেশী ও মিত্রদেশগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, জ্বালানি সরবরাহ ও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতেও এ অর্থ ব্যয় হবে।রিপাবলিকানরাও এ পরিকল্পনার পক্ষে জোর সমর্থন দেন। তবে তারা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সমালোচনা করে বলেন, তিনি অতিমাত্রায় সতর্কতা অবলম্বন করছেন। তারা পোল্যান্ডের মিগ যুদ্ধবিমান ইউক্রেনে পাঠানোর সিদ্ধান্তে দীর্ঘসূত্রিতার উদাহরণ দেন।

সিনেটের সংখ্যালঘু দলের নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেন, এ প্রশাসনের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকা। তারপর আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চাপে পর্যুদস্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ও সবচেয়ে সুবিধাজনক মুহূর্তটি পার হয়ে যাওয়ার পরই কেবল তারা কোনো উদ্যোগ নেয়ার চেষ্টা করে।