×

সারাদেশ

৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন অনুপ্রেরণা: হানিফ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২২, ১০:০৯ পিএম

৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন অনুপ্রেরণা: হানিফ

বৃহস্পতিবার “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৭ মার্চের ভাষণ সারা বিশ্বের স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন অনুপ্রেরণা” শীর্ষক আলোচনা সভায় মাহবুবউল আলম হানিফ। ছবি: ভোরের কাগজ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ সারা বিশ্বের স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন অনুপ্রেরণা। ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতির ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মূল অনুপ্রেরণা বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের এই ঐতিহাসিক ভাষণ। যেখানে তিনি বজ্রকন্ঠে উচ্চারণ করেছেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিকেলে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃক আয়োজিত “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৭ মার্চের ভাষণ সারা বিশ্বের স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের চিরন্তন অনুপ্রেরণা” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

এ সময় হানিফ দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতির বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের জবাবে বলেন, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজলে দেখা যাবে অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। এটা ব্যবসায়ীদের কারসাজি, এটাকে রাজনৈতিককরণ করার কোনো কারন নেই। দেশে হঠাৎ করে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনা নতুন নয়, বহু সরকারের আমলেই এ ধরণের ঘটনা দেখে আসছি, এখন সত্যিকার অর্থেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আর্ন্তজাতিক বাজারে একটা অস্থিতিশীল অবস্থায় আছে, সেটার কারণে অনেকেই সুযোগ নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং সেল কাজ করছে এবং আইনী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এ সময় তিনি আরো বলেন, শুধু রমজানের আগে না-যত দ্রুত সম্ভব বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে বিভিন্ন আমদানি দ্রব্যের উপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর -এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল আলোচক ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ।

অনুষ্ঠানের মূল আলোচক ও বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল একজন দক্ষ কৌশলীর সুনিপুণ বক্তব্য। ভাষণের শেষ পর্যায়ে তিনি (বঙ্গবন্ধু) ‘স্বাধীনতার’ কথা এমনভাবে উচ্চারণ করেন, যাতে ঘোষণার কিছু বাকিও থাকল না, আবার তার বিরুদ্ধে একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণার অভিযোগ উত্থাপন করাও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর জন্য সম্ভব ছিল না। বস্তুত বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতারই ঘোষণা। তবে সরাসরি তা ঘোষণা না করে তিনি কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করেন। তার অবস্থান ছিল: সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি সংখ্যালঘিষ্ঠ পশ্চিম পাকিস্তানি থেকে বিচ্ছিন্ন হবে কেন? বরং সংখ্যালঘিষ্ঠরাই বিচ্ছিন্ন হোক।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে মুক্তিকামী বাঙালি জাতিকে মুক্তির বাণী শুনিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৭ই মার্চের সেই ভাষণেরই সফল পরিণতি স্বাধীন বাংলাদেশ। ৫০ বছরেও ১৮ মিনিটের সেই ভাষণের আবেদন এতটুকু কমেনি বরং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এ ভাষণ ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App