×

পুরনো খবর

নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যায় সাক্ষ্য শুরু ২০ মার্চ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২২, ০৬:২৫ পিএম

নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যায় সাক্ষ্য শুরু ২০ মার্চ

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী । ফাইল ছবি

নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় এখনো শুরু হয়নি সাক্ষ্যগ্রহণ। বুধবার (১০ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেন মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২০ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সাদিয়া আফরিন জানান, মামলাটির আসামিদের উপস্থিতির জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। তবে আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন কারাগারে থাকলেও তাকে হাজির করা হয়নি। এছাড়াও আসামি আদনান সিদ্দিকী, ফারুক আব্বাসীর পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। বিচারক আবেদনটি গ্রহণ করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ২০ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।

এরআগে উচ্চ আদালতের আদেশে দীর্ঘদিন মামলাটির বিচারকাজ স্থগিত ছিল। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে ফের মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবির সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, আদনান সিদ্দিকী, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী। এরমধ্যে সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী পলাতক রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ভালোবেসে ওই সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পারভীন সুলতানা দিতিকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের কিছুদিন পর সম্পর্কে ফাটল ধরলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে নেশার জগতে জড়িয়ে পড়েন সোহেল। সেই জগতের অপরাধীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরেই খুন হন তিনি। বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন।

এ মামলায় ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরই আসামিদের মধ্যে একজন হাইকোর্টে আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App