×

জাতীয়

তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২২, ১০:৩৮ এএম

তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী

রমজান আসার আগেই রাজধানীতে শুরু হয়েছে তীব্র যানজট। ছবিটি বুধবার সকালে তেজগাঁও সাতরাস্তায় তোলা। ছবি: ভোরের কাগজ

রমজান শুরু হওয়ার আগেই তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী। সাধারণত রমজান মাসে রাজধানীর সড়কগুলোতে মানুষের ব্যস্ততার কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতে দেখা যায়। কিন্তু এবার আগেভাগেই যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের দেয়া বিধি-নিষেধ উঠে যাওয়ার স্কুল-কলেজ,সরকারি বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সব অফিস এবং সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে যানজট পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এক সপ্তাহ আগেও যেখানে যেতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাগতো এখন সেই একই দূরত্বে যেতে লেগে যাচ্ছে প্রায় এক ঘণ্টা।

তীব্র যানজটের কারণে রাজধানীর সব সড়কে যাত্রীদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। গত কয়েকদিন ধরে ধানমন্ডি রাপা প্লাজা থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ, বিজয় স্মরণী, জাহাঙ্গীর গেট হয়ে বনানী পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার জয়ন্তী সরকার বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ধানমন্ডি থেকে বনানীর অফিসে পোঁছতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। যানবাহন ও যাত্রী বেড়ে যাওয়ার সড়কের চাপ বেড়েছে। মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে বনানী পর্যন্ত সড়কে যানজট লেগেই থাকে।বিজয় স্মরণী থেকে জাহাঙ্গীর গেট পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে ।

ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন ধরে তিনি মোহাম্মদপুর থেকে গুলশানের অফিসে সময়মতো পৌঁছাতে পারছেন না। মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করলেও মনিপুরিপাড়া, বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীরকে টু বনানী এলাকায় তীব্র যানজটের কবলে পড়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। বিজয় স্মরণী ফ্লাইওভার ব্যবহার করে গেলেও মহাখালী এবং তেজগাঁও লিংক রোডে যানজটে পড়তে হচ্ছে।

দিলকুশা শিল্প ভবন এর কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, অফিসে যাওয়ার পথে জিগাতলা, ধানমন্ডি ২ নাম্বার রোড, সাইন্স ল্যাবরেটরি মোড়, এলিফ্যান্ট রোড, শাহবাগ, প্রেসক্লাব, পল্টন সব রাস্তাতেই দীর্ঘসময় যানজটে বসে থাকতে হয়। গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি সময়মতো অফিসে যেতে পারেননি। রাজধানীর মিরপুর থেকে মতিঝিল যাওয়ার পথেও যাত্রীদের যানজটে আটকে থাকতে হয় দীর্ঘ সময়। মেট্রোরেলের কাজ চলার কারণে বিভিন্ন স্থানে রাস্তা সংকুচিত হয়ে গেছে। এসব জায়গা দিয়ে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করে। তারপরে রোকেয়া সরণী, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, বাংলা মোটর, শাহবাগ, প্রেসক্লাব হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘসময় তীব্র যানজট দেখা যায়। মিরপুর থেকে মতিঝিল পোঁছতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে। অফিসে আসা যাওয়ার পথে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে প্রতিদিন। মালিবাগ ফ্লাইওভারের ওপরেও যানজটের সৃষ্টি হয়। উবার চালক বাচ্চু মিয়া বলেন, গত ৪/৫ দিন ধরে রাজধানী সব সড়কে যানজট বেড়েছে। যানজটের কারণে ট্রিপ কমে গেছে, দৈনিক ইনকাম কমেছে।

গোড়ান, মুগদা, মান্ডা, বাসাবো, খিলগাঁও এলাকার লোকজনকে মতিঝিল পৌঁছাতে এখন আগের চেয়ে বেশি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। যানজট নিরসনে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হলেও এখন ফ্লাইওভারের উপরে যানজট লেগে থাকছে। খিলগাঁও রেলগেট থেকে যানজট শুরু হয়ে দৈনিক বাংলা মোড়, অপরদিকে আরামবাগ পর্যন্ত যানজটে বসে থাকতে হয়। তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বের হয়েও সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না। যানজট দিন দিন বেড়েই চলছে। সকাল থেকে সারাদিনই যানজট লেগে থাকে। এরপর বিকেলে অফিস ছুটির পর থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত বিভিন্ন সড়ক যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App