×

জাতীয়

সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির কারণ আওয়ামী লীগ ব্যবসায়ীদের কারসাজি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২২, ০৩:০৪ পিএম

সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির কারণ আওয়ামী লীগ ব্যবসায়ীদের কারসাজি

রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভায় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির একটাই কারণ সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতি। আজকে তারা দুর্নীতি করে ফুলে-ফেঁপে বড় হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ তারা সকলেই আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। রবিবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে কারণ হচ্ছে এলপিজি গ্যাস বিদেশ থেকে আমদানি করে নিয়ে আসার পেছনে তাদের শিল্প উপদেষ্টা জড়িত। ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি কোন বিচার হচ্ছে না। চাঁদপুর বিশ্ববিদ্যালয় কে কেন্দ্র করে জমি অধিগ্রহণে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও কোন বিচার হয় না।

তিনি বলেন, জনগণকে মুক্ত করতে হবে। আমাদের যুদ্ধ শুধু বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। আমাদের যুদ্ধ আমাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য। দেশের মালিক এ দেশের মানুষ, মানুষের সেই অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্যই আমাদের যুদ্ধ। আমরা ভোট দিতে চাই, দেশের মানুষ ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধিত্ব নির্বাচিত করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধ তখনই সম্ভব হবে, যখন দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার আসবে। মানুষের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা নিশ্চিতকরণ তখনই সম্ভব হবে যখন একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এবং সেই সরকারকে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে যে বিষয় নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ সেটা বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যেকের অন্তরের কথা যে, আমরা আর পারছি না। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অন্যদিকে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে এতে করে আমাদের জীবনযাপন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

করোনার পর দেশের শতকরা ২ ভাগ দারিদ্র বেড়ে গেছে। কর্মসংস্থান হচ্ছে না। কর্মহীন অবস্থায় আছে প্রায় ৬ কোটি মানুষ। যা স্বীকার না করে সরকার বলছে উন্নয়ন উন্নয়ন।

খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য ক্রয়ে সাধারণ মানুষের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। আজকে বাংলাদেশকে এমন একটি জায়গায় আওয়ামী লীগের সরকার নিয়ে গেছে, যেখানে বাংলাদেশের মানুষ এখন বেঁচে থাকার উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না। অতিষ্ঠ হয়ে গেছে জীবন। বেঁচে থাকার জন্য নূন্যতম যে খাবার সেটা কিনতে পারছেন না। বেঁচে থাকার জন্য যে নিরাপত্তা দরকার সে নিরাপত্তা পাচ্ছেন না। বরং আমরা যখন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচি পালন করছি তখন সরকারের টনক নড়েছে। তারা জেলা-উপজেলায় আমাদের কর্মসূচিগুলোতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকার যারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তাদেরকে সরাতে হবে। এই আওয়ামী লীগ সরকার যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই তারা বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নকে চুরমার করে দিয়েছে। ৭২ থেকে ৭৫ তারা একই কাজ করেছে। শেষ পর্যন্ত জনগণ যখন বিদ্রোহ করতে শুরু করেছে, প্রায় ৩০ হাজার তরুণকে হত্যা করেও সেই বিদ্রোহ সামাল দিতে পারে নি। তখন তারা একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছে। আজকে ও একই ঘটনা ঘটছে, এবার শুধু চেহারাটা আলাদা, গণতন্ত্রের মোড়ক লাগিয়েছে কিন্তু ভিতরে ভিতরে সমস্তটাই একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা।

'আজকে স্কুল কলেজগুলোতে বেতন বৃদ্ধি পাচ্ছে উপরন্তু এমন এমন হেডমাস্টার-হেডমিস্ট্রেস অথবা ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ দেয়া হচ্ছে যারা চুরি করে সারাক্ষণ। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে চুরির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাবেক ছাত্রনেতা আমান উল্লাহ আমান, আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, নাজিম উদ্দিন আলম, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশের সঞ্চালনা করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App