×

শিক্ষা

বিসিএস শিক্ষা সমিতির নির্বাচনে ‘ঐক্য প্যানেল’ এর ইশতেহার ঘোষণা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২২, ০৯:০৪ পিএম

বিসিএস শিক্ষা সমিতির নির্বাচনে ‘ঐক্য প্যানেল’ এর ইশতেহার ঘোষণা

শুক্রবার ঢাকা কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে ‘ঐক্য প্যানেল’ এর ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। ছবি: ভোরের কাগজ

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে ২৬ দফা ইশতেহার প্রকাশ করেছে আজমতগীর-জাফর ‘ঐক্য প্যানেল’। শুক্রবার (৪ মার্চ) ঢাকা কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। ঐক্য প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর।

মহাসচিব প্রার্থী মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী। যুগ্ম মহাসচিব (ঢাকা মহানগর) প্রার্থী ডিআইএ যুগ্ম পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার। কোষাধ্যক্ষ হিসেবে রয়েছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন। ১২০ পদে প্রার্থী দিয়েছে এই প্যানেল।

শিক্ষা ক্যাডারদের বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, কোর কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পদ আপগ্রেডেশন ও পদসোপান সৃষ্টি, প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টির ব্যবস্থা, পদোন্নতির শর্ত পূরণ করা শিক্ষকদের সহকারি অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণসহ বেশ কয়েকটি কর্মসূচি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার দেয় এই প্যানেল।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ড, ঢাকার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম জানান, আগামী ২০ মার্চ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাতটি প্যানেলে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ১৪ হাজারের বেশি ক্যাডার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

ইশতেহার ঘোষণার সময় মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যক্ষ ও প্যানেলের মহাসচিব পদপ্রার্থী সৈয়দ জাফর আলী বলেন, দেশের প্রতিটি ক্যাডার সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী সংগঠন নিজেদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতৃত্বের সংকট, দীর্ঘ ছয় বছরের অচলাবস্থা, ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর স্বার্থে সংগঠনকে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা, ঐক্য এবং অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার অভাবে আমরা কাঙ্ক্ষিত অর্জন থেকে বঞ্চিত রয়েছি।

একজন ক্যাডার কর্মকর্তা তার চাকরির অন্যান্য শর্তপূরণ সাপেক্ষে পাঁচ বছর পূর্তিতে ৬ষ্ঠ গ্রেডে উন্নীত হওয়ার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। জেলা পর্যায়ে শিক্ষা ক্যাডারের প্রশাসনিক পদ সৃষ্টি করে উপ-পরিচালকের (কলেজ) অফিস স্থাপন। পদ সৃষ্টির পূর্ব পর্যন্ত সরকারি কলেজের সঙ্গে আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয় থেকে সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থা করা। শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য পূর্ণ গড় বেতনে অর্জিত ছুটি নিশ্চিতকরণে ব্যবস্থা নেয়া। অধ্যক্ষদের জন্য প্রাধিকারভিত্তিক গাড়ি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং প্রতিটি জেলায় শিক্ষা ক্যাডার সদস্যদের জন্য ডরমিটরি স্থাপন। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষা ক্যাডার সদস্যদের কর্মস্থলে এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App