×

জাতীয়

ক্ষুদে পাঠকে মুখর শিশুচত্বর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২২, ০২:০১ পিএম

ক্ষুদে পাঠকে মুখর শিশুচত্বর

বরাবরই ছুটির দিনে সকাল সকাল দুয়ার খুলে যায় বইমেলার। শিশু প্রহরে শিশুচত্বরে ঢল নামে ক্ষুদে পাঠকদের। ছবি: ভোরের কাগজ

ক্ষুদে পাঠকে মুখর শিশুচত্বর
ক্ষুদে পাঠকে মুখর শিশুচত্বর

বরাবরই ছুটির দিনে সকাল সকাল দুয়ার খুলে যায় বইমেলার। শিশু প্রহরে শিশুচত্বরে ঢল নামে ক্ষুদে পাঠকদের। কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মেলা চত্বর। বইমেলার চিরচেনা এই দৃশ্যের খানিকটা ভিন্নরূপ দেখা গেছে করোনাকালে। এবারের অমর একুশে বইমেলার শুরুর দিকে শিশুদের আনাগোনা ছিল নেহাত কম। তবে মেলার ১৮তম দিনে এসে চিত্রটা বদলে গেছে আমূল।

শুক্রবার (৪ মার্চ) ছুটির দিনের শিশুপ্রহর হয়ে ওঠে সবচেয়ে বেশি কলমুখর। শিশুচত্বরে দেখা গেছে ঢল নামে।

বেলা ১১টায় মেলার দুয়ার খোলার পরই শিশুদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। বাবা-মা কিংবা অভিভাবকের হাত ধরে আসা শিশুদের পদচারণা শুধু শিশুচত্বরেই আটকে থাকেনি। বলা যায় পুরো মেলা প্রাঙ্গণই তাদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে। হই হুল্লোড়, ছুটোছুটি আর খেলাধূলায় মেতে ওঠে তারা।

শিশুচত্বরের গাছের ছায়ায় দলবেঁধে হালুম, ইকরি মিকরির অভিনয়ে তারা আনন্দ উচ্ছ্বাস করতে থাকে। কেউ কেউ আবার সবুজ ঘাসের ওপর পা ছড়িয়ে বইয়ের পাতা খুলে পড়তে থাকে। শিশুরা জানায়, তাদের দারুণ লাগছে মেলায় এসে। তাই তারা মেলাতেই সময় কাটাতে চায়। কেউ কেউ বলে, বাসা মানেই তো বন্দী জীবন। করোনার ভয়ে বাইরে খেলতে যেতেও মানা।

রাজধানীর কলাবাগান থেকে আসা শিশু মৌমিতা ইমু বলে, কতদিন পর যে এভাবে বাইরে আসা হলো, এভাবে খেলতেও পারছি। দারুণ লাগছে মেলায় এসে। পছন্দের বই কিনে দিয়েছে আব্বু-আম্মু। সেগুলো বাসায় নিয়ে গিয়ে পড়বো।

পুরান ঢাকা থেকে মামুন আর সোহানা দম্পতি এসেছেন তাদের দুই শিশু সেমন্তি আর মোহনাকে নিয়ে। মামুন বলেন, শহুরে শিশুরা এমনিতে ঘরবন্দী। প্রযুক্তি আসক্তি তাদের বাড়ছে। এরকম মেলা সেই আসক্তি কিছুটা কাটাতে পারবে বলে আমার মনে হয়। সেমন্তি বলে, মেলায় এসে দারুণ মজা করছি আমরা। অনেক ভালো লাগছে। আবারো আসবো আমরা।

শিশু চত্বরের কয়েকজন প্রকাশক বলেন, শুরুর দিকে শিশুদের উপস্থিতি খানিকটা কম ছিল। তবে স্কুল খুলে যাওয়ার পরই শিশুদের ভিড় বেড়েছে। তার মধ্যে আজ (শুক্রবার) অন্যসব দিনের চেয়ে সবচেয়ে বেশি শিশু এসেছে মেলায়। বইও বেচাকেনা বেড়েছে কয়েকদিনের চেয়ে।

আরো কয়েকজন প্রকাশক বলেন, শিশুরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ি বই কিনছে। অনেক শিশু আবার বাবা মাকে বাধ্য করছে বই কিনে দিতে। অনেক বাবা মা সাধ্য অনুযায়ী সন্তানদের বই কিনে দিচ্ছেন। মেলা শুরুর পর আজই বেশি শিশুর আগমন ঘটেছে। বাকিদিনগুলোতেও এমনটা দেখা গেলে বেচাবিক্রি বাড়তে পারে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App