ইউক্রেনে বাংলাদেশি ক্রুদের নেয়া হলো নিরাপদ বাংকারে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২২, ০৭:৩৯ পিএম
বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের নাবিকরা। ছবি: বিবিসি
এর আগে ইউক্রেনে আটকা পড়া ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ নামের বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলার পর নাবিকরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান। জীবন বাঁচানোর জন্য তারা সরকারের কাছে নিরাপদ স্থান বা কোনো বাংকারে তাদেরকে নিয়ে যাওয়ার আকুতি জানান।
[caption id="attachment_337999" align="aligncenter" width="700"] ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ[/caption]তারা জানান, সবাই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। জাহাজে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। জরুরি পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে তারা চলছেন। সেটা বন্ধ হয়ে গেলে তাদের জাহাজে থাকাই কঠিন হয়ে যাবে।
বুধবার (২ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায়) বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হামলা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই জাহাজেরই নাবিক সালমান সামি। হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন।
জাহাজটির সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার রবিউল আউয়াল এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আমাদের জাহাজে রকেট হামলা হয়েছে। একজন মারা গেছেন। আমাদের জাহাজে পাওয়ার সাপ্লাই নেই। ইমার্জেন্সি পাওয়ার সাপ্লাইয়ে আমরা চলছি। আমরা মৃত্যুর সম্মুখীন। আমাদের এখনও উদ্ধার করা হয়নি। দয়া করে আপনারা আমাদের বাঁচান। আমরা সবাই আছি এখানে, দেখেন। আমাদের কোনো জায়গা থেকে সাহায্য আসেনি। আমাদের বাঁচান।
[caption id="attachment_338093" align="aligncenter" width="700"] নিহত হাদিসুর। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]৩১ সেকেন্ডের অপর এক ভিডিওতে জাহাজটির আরেকজন নাবিক বলেন, আমি আসিফুল ইসলাম আসিফ। আমরা নাকি পোল্যান্ডে চলে গেছি নিরাপদভাবে। এটা ভুল নিউজ। আমাদের প্লিজ এখান থেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন।
এমভি বাংলার সমৃদ্ধি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজ। শিপিং করপোরেশন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সরকারি সংস্থা।
[caption id="attachment_338057" align="aligncenter" width="700"] বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে আটকা পড়া বাংলাদেশি নাবিকরা জাহাজ থেকে ফেসবুক লাইভে আসেন। ছবি: ফেসবুক থেকে[/caption]জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে পৌঁছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হয়ে যাওয়ায় ২৯ নাবিকসহ সেখানেই আটকা পড়ে জাহাজটি। একজন মারা যাওয়ায় সেখানে এখন ২৮ নাবিক রয়েছেন। ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে তাদের ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল।