×

সারাদেশ

অপহরণের ৩ মাস পরও উদ্ধার হয়নি ছামিয়া

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২২, ০৬:১০ পিএম

অপহরণের ৩ মাস পরও উদ্ধার হয়নি ছামিয়া

নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী ছামিয়া আক্তার

অপহরণের ৩ মাস পরও উদ্ধার হয়নি ছামিয়া

প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ছামিয়া আক্তার অপহরণের ৯৩ দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে এখনো উদ্ধার হয়নি। গত ৩০ নভেম্বর স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে বখাটে অটোচালক মাসুদ মিয়া ও তার সঙ্গীরা স্কুল ছাত্রী ছামিয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও মেয়ের সন্ধান না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবারের সদস্যরা, স্কুলের শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকরা।

মামলা সূত্রে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের রাসেল মিয়ার সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে গত ৩০ নভেম্বর ফরদাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে একই গ্রামের বখাটে অটোচালক মাসুদ মিয়া তার ভাই সহ কয়েকজন সিএনজিচালিত অটোরিকশায় জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২ ডিসেম্বর বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। শিক্ষার্থীর বাবা রাসেল মিয়া পরবর্তীতে মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিলে গত ১২ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে বখাটে মাসুদ মিয়াসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছেন। ঘটনার ৯৩ দিন অতিবাহিত হলেও স্কুল ছাত্রী উদ্ধার না হওয়ায় তার জীবন নিয়ে শংকিত তার পরিবার।

শিক্ষার্থীর বাবা রাসেল মিয়া জানান, আমার মেয়ের অপহরণের ৯৩ দিন অতিবাহিত হলেও আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তার জীবন নিয়ে আমরা শঙ্কিত, বেঁচে আছে না তাকে মেরে ফেলেছে বা পাচার করে দিয়েছে আমরা বুঝতে পারছি না, মেয়েকে কি শেষবার আর দেখতে পারবোনা- এই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাসেল মিয়া।

ফরদাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক মিয়া জানান, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছামিয়া আক্তার অপহরণের তিন মাসেরও বেশি সময় পেরোলেও এখনো উদ্ধার না হওয়ায় খুবই দুঃখজনক। স্কুলে যাওয়ার পথে প্রায়ই বখাটে মাসুদ মিয়া তাকে উত্ত্যক্ত করতো বলে শুনেছি। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করবো দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থী ছামিয়া আক্তারকে তার বাবা-মার কাছে এনে দিতে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিআইডির উপ-পরিদর্শক জামাল উদ্দিন মন্ডল জানান, মাসুদ কোনো মোবাইল ব্যবহার করছে না, তার পরিবারের সদস্যদের মোবাইল টেকিং করেছি ও বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি কয়েকবার, আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভিকটিম উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারবো।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু আহমেদ জানান, নিখোঁজের পর শিক্ষার্থীর বাবা থানায় আসলে আমরা নিখোঁজ ডায়েরি করি এবং কয়েকদিন পর তা প্রত্যাহার করে। থানায় কোনো মামলা করতে আসেনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App