ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রতিবাদে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৯তম অধিবেশনে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের বক্তৃতার সময় প্রায় ৪০টি দেশের ১০০ জনেরও বেশি কূটনীতিক ওয়াকআউট করেছেন।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত জাতিসংঘের ইউরোপীয় অঞ্চলের সদর সপ্তরে এ ঘটনা ঘটে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য চলার সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান এবং অন্যান্য দূত বের হয়ে যাওয়ার পর কক্ষটিতে মাত্র অল্প কয়েকজন কূটনীতিক থেকে যান। তাদের মধ্যে ছিলেন জেনেভায় জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত গেনাডি গ্যাটিলভ যিনি লাভরভের সাবেক ডেপুটি ছিলেন। সিরিয়া, চীন ও ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রদূতরাও কক্ষে অবস্থান করেন। খবর আল জাজিরার।

ওয়াকআউটে নেতৃত্ব দেয়া ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ইয়েভেনিয়া ফিলিপেনকো ওয়াকআউটে অংশ নেয়া সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

রাশিয়ার বিমানের জন্য ইউরোপীয় আকাশসীমা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ল্যাভরভ মানবাধিকার কাউন্সিলে এসে সরাসরি ভাষণ দিতে পারেননি। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেনের উপর তার দেশের হামলাকে ন্যায্যতা দিয়ে উল্টো ইউক্রেন কর্তৃক রুশ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন।

এদিকে ল্যাভরভের বক্তৃতায় ওয়াকআউট করা কূটনীতিকরা বলেছেন, মানবাধিকার কাউন্সিলকে বিকৃত তথ্যের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অপব্যবহার করা উচিত নয়।

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি ল্যাভরভের ব্ক্তব্যের বিরোধীতা করে বলেছেন, আমরা এজন্য একসঙ্গে খুব শক্ত অবস্থান দেখাতে চেয়েছিলাম।

ফরাসি রাষ্ট্রদূত জেরোম বোনাফন্ট বলেছেন, যে কোনো আক্রমণই মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এবং এটি গুরুত্বপূর্ণ। মানবাধিকার কাউন্সিল এই ওয়াকআউটের মাধ্যমে দেখাল যে এটি ইউক্রেন এবং ইউক্রেনের জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ।

তাদের এ ওয়াকআউট প্রায় এক ঘণ্টা ব্যাপী চলে।