×

খেলা

বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে কোণঠাসা রাশিয়া

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২২, ১০:৩১ পিএম

বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে কোণঠাসা রাশিয়া

২০১৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছিল রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলা চালানোর কারণে এবার বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে কোনঠাসা রাশিয়া

বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে কোণঠাসা রাশিয়া

জুডোতে পারদর্শী পুতিন প্রতিপক্ষকে তুলে আছাড় মারছেন।আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশনের আলংকারিক সভাপতির পদ থেকে তাকে দূরে সরিয়ে রেখেছে আইজেএফ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধোঁয়া ধীরে ধীরে গ্রাস করছে ক্রীড়াজগতকেও। পুরো ক্রীড়াবিশ্ব রাশিয়ার তীব্র সমালোচনা করছে। ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়ার শক্তিশালী হামলার প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনে। কেবল এ দুই দেশের খেলাধুলা নয়, বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও এই সংকট ছাপ রেখে যাচ্ছে। বড় ক্ষতিই হয়েছে ফুটবলে। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে। হামলার পরপরই উয়েফা ফাইনাল রাশিয়া থেকে সরিয়ে নিয়ে গেছে প্যারিসে। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের সরকারপ্রধান মার্শাল ল’ ঘোষণা দেয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ফুটবল লিগসহ অনেক খেলা। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে রাশিয়ার ক্লাব স্পার্তাক মস্কো, জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গের নাম আসে নিয়মিত।

ইউক্রেনের ক্লাব ডায়নামো কিয়েভ ও শাখতার দোনেৎস্কও আছে এই তালিকায়। তাই রাশিয়া ও ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির প্রভাব স্বভাবতই পড়বে এই চার ক্লাবের ওপর। ২৪ ফেব্রুয়ারি নিজেদের ওয়েবসাইটে লিগ স্থগিতের ব্যাপারটি নিশ্চিত করে ইউক্রেন ফুটবল ফেডারেশন। লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেক বিদেশি ফুটবলার তাদের জীবন নিয়ে দেশে ফেরার ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। শাখতারের হয়ে খেলা ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত ইউক্রেন জাতীয় দলের ফুটবলার জুনিয়র মোরায়েস ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, এখানকার পরিস্থিতি গুরুতর। আমাদের সব বন্ধুবান্ধব, পরিবার কিয়েভে বন্দি হয়ে আছি এবং এখান থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজছি। আমরা একটি হোটেলে আছি। আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন। ইউক্রেনে চালানো রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবার লড়াইয়ে নেমেছেন হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন বক্সার ওলেকসান্ডার ইউসক। অলিম্পিক স্বর্ণজয়ী এই বক্সারের আগে তার বন্ধু ভ্যাসিলি লোমাচেঙ্কোও প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন।

এর আগে হল অফ ফেমে জায়গা পাওয়া বক্সার ও কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো অস্ত্র হাতে যুদ্ধে নামার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে রাশিয়ার আগ্রাসনের শিকার হতে পারে এমন ইঙ্গিত পেয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তার ভাই ভ্লাদিমির ক্লিটসকো। ইউসক যুদ্ধে নামার আগে গত শনিবার ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, যদি আমরা নিজেদের ভাই মনে করি। তাহলে আপনার সন্তানদের আমাদের দেশে পাঠাবেন না লড়াই করার জন্য। এই আহ্বান আমি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছেও জানাতে চাই। আপনি যুদ্ধ থামাতে পারেন। প্লিজ শান্ত হয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসুন কোনো ধরনের দাবি ছাড়া।’ ‘আমাদের সন্তান, স্ত্রী, নাতি-নাতনি লুকিয়ে আছে মাটির নিচে। আমরা আমাদের নিজেদের দেশে আছি, অন্য কোনো কিছু করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা নিজেদের রক্ষা করছি। এই যুদ্ধ বন্ধ করুন, বন্ধ করুন। কোনো যুদ্ধ নয়।’

ফিফার অধীনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে রাশিয়া নাম ব্যবহার করে মাঠে নামতে পারবে না রাশিয়ান ফুটবলাররা। সরাসরি দেশের নামের পরিবর্তে ‘ফুটবল ইউনিয়ন অব রাশিয়া’ নামধারণ করে খেলতে হবে তাদের। শুধু তাই নয়, রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে না কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ঘরের মাঠে খেলতে না পারার বেদনাই নয় শুধু। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেললেও কোনো দর্শক পাবে না রুশ ফুটবলাররা। স্টেডিয়ামে কোনোভাবেই উড়বে না রুশ পতাকা। খেলা উভয় দলেরই জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সূচনা করা হয়। তবে রাশিয়ার ম্যাচে বাজানো হবে না রুশ জাতীয় সংগীত। দেশের নাম পরিবর্তন, পতাকা নিষেধাজ্ঞা এবং জাতীয় সংগীতের ওপরও ফিফার নিষেধাজ্ঞা রুশ ফুটবলারদের কঠিন মানসিক যন্ত্রণায় ভোগাবে। প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের ওপর রুশ সেনাবাহিনীর হামলার কারণেই চারদিক থেকে নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে রাশিয়া। জাতীয় ও অর্থনৈতিকভাবে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোসহ যুক্তরাষ্ট্রের থেকেও নিষেধাজ্ঞায়া পড়েছে তারা। অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোর ন্যায় ক্রীড়াঙ্গনেও রাশিয়ার বিপক্ষে একই রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ফিফা।

[caption id="attachment_337777" align="aligncenter" width="602"] জুডোতে পারদর্শী পুতিন প্রতিপক্ষকে তুলে আছাড় মারছেন।আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশনের আলংকারিক সভাপতির পদ থেকে তাকে দূরে সরিয়ে রেখেছে আইজেএফ[/caption]

ইউক্রেনে হামলাকারী দেশটির ওপর এতগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরও শাস্তির পরিমাণ কম হয়েছে বলে সমালোচনায় মেতে উঠেছে ইউরোপিয়ান দেশগুলো। আগামী পহেলা এপ্রিল কাতার বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু তার আগেই মার্চে রাশিয়ার দুইটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৪ মার্চ প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে পোল্যান্ডের বিপক্ষে। চেক রিপাবলিক ও সুইডেনের মধ্যে জয়ী দলের সঙ্গে ২৯ মার্চ খেলবে দ্বিতীয়টি। তবে ইতোমধ্যে ইউক্রেনে হামলার কারণে তিন দেশই রাশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে। ফিফার নেয়া সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন পোলিশ ফুটবল এসোসিয়েশনের প্রদান সিজারি কুলেসেজা। অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরও সিদ্ধান্তের বিপক্ষে গিয়ে সিজারি কুলেসেজা বিশ্বকাপ থেকে রাশিয়াকে নির্বাসিত করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন, ফিফার এই সিদ্ধান্ত একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। আমরা এই ম্যাচগুলোতে অংশ নিতে আগ্রহী নই। আমাদের অবস্থান আগের মতোই। পোলিশ জাতীয় দল রাশিয়ার সঙ্গে খেলবে না, তা রাশিয়া যে নামেই খেলুক না কেন। সিজারি কুলসেজা একা নন। রাশিয়াকে কাতার বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট নোয়েল লে গ্রেটও।

অন্যদিকে রাশিয়ার বিপক্ষে চেক রিপাবলিক ও সুইডেনও না খেলার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, ফিফার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন সুইডিশ ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট কার্ল-এরিক নিলসন। ইউক্রেনে হামলা করার কারণে ক্রীড়াজগতে রাশিয়ানদের আরো তীব্র শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল ম্যাচও রাশিয়া থেকে সরিয়ে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফিফা। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের জন্য বেশ প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে। ক্রীড়াজগতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছিল ইংলিশ ক্লাব চেলসির মালিক আব্রামোভিচের নাম। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের চাপের মুখে পড়ে ইংলিশ ফুটবল ক্লাব চেলসির অভিভাবকত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আব্রামোভিচ। লুকাকুদের এ ইংলিশ ক্লাবটির দেখাশোনার দায়িত্ব চেলসির চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি।

গত শনিবার চেলসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। আব্রামোভিচ নিজেও এক বিবৃতিতে বলেছেন, চেলসির ২০ বছরের মালিকানার সময়ে আমি সব সময় ক্লাবের স্বার্থ সবার আগে দেখেছি। আর এই সময় আমি কেবল ক্লাবের একজন কর্মকর্তা হিসেবেই নিজেকে ভেবেছি। যার কাজ ক্লাবের উন্নতির জন্য কাজ করা, ক্লাবের ভবিষ্যৎ মজবুত করা। সেই সঙ্গে সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা। চেলসির ফুটবল ক্লাব ইংল্যান্ডে প্রতিষ্ঠিত হলেও এ ক্লাবটির বর্তমান মালিক রাশিয়ান ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচ। সম্প্রতি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেনের ওপর রুশ সেনাদের হামলার পর থেকেই রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন প্রথমে ৫টি রুশ ব্যাংক ও তিনটি গোষ্ঠীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেও সেখানে ছিল না আব্রামোভিচের নাম। এরপর রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় আব্রামোভিচকে নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তাকে নিয়ে বিতর্কের শুরু করে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের এক সদস্য। রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিনের অনেক দুর্নীতির সঙ্গে আব্রামোভিচের সরাসরি যোগসূত্র সম্পর্কিত কিছু নথিপত্র পার্লামেন্টে প্রকাশ করেন তিনি। এরপর থেকেই ইংলিশ ক্লাবটির মালিকানা পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার জোর দাবি ওঠে ইংলিশ পার্লামেন্টে। তাদের দাবির তোপে পড়ে বাধ্য হয়ে লুকাকুদের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আব্রামোভিচ। ২০০৩ সালে চেলসির মালিকানা গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনে মধ্যস্থতা করার জন্য চেলসির মালিক রোমান আব্রামোভিচকে আহ্বান জানানো হয়েছে। আব্রামোভিচও সে প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। ব্যাপারটা খোদ আব্রামোভিচের মুখপাত্রই নিশ্চিত করেছেন। জিউইশ নিউজ জানিয়েছে, এর মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আব্রামোভিচকে অনুরোধ করেছেন রাশিয়ার সঙ্গে মধ্যস্থতায় সাহায্য করার জন্য। আব্রামোভিচের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে তারা লিখেছে, আমি নিশ্চিত করতে পারি, ইউক্রেন চেষ্টা করছে রাশিয়ার মধ্য থেকে এমন একজনকে খুঁজে বের করার, যিনি শান্তিপূর্ণ এক সমাধান বের করতে সহায়তা করতে পারেন। তারা ইহুদি সম্প্রদায়ের মাধ্যমে আব্রামোভিচের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, সাহায্য পাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। এরপর থেকেই আব্রামোভিচ শান্তিপূর্ণ সমাধানের উদ্দেশ্যে সহায়তা করে যাচ্ছেন।’

ফুটবলের মতো স্থবিরতা নেমে এসেছে অন্য খেলায়ও। আগস্টে পুরুষ ভলিবল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার কথা রাশিয়াতে। সেটি হবে কিনা, তা নিয়েও শঙ্কা আছে। আন্তর্জাতিক ভলিবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। এদিকে রাশিয়ার সোচিতে হওয়ার কথা রাশিয়ান গ্র্যাঁ প্রিঁ। টিকেট বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে ফর্মুলা ওয়ানের (গাড়ি রেস) ইভেন্টটির। তবে অনেক রেসার এরই মধ্যে অংশ নেয়ার ব্যাপারে নেতিবাচক কথা বলেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জুডোর সম্পর্ক বেশ পুরনো। শৈশবে জুডোতেই প্রথম নিজেকে চিনেছিলেন পুতিন। ২১ বছর বয়সে লেনিনগ্রাদে জুডো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। এখনো সময় পেলে জুডোকাদের সঙ্গে নেমে পড়েন ম্যাটে। নিজের দক্ষতা দেখান, কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে হেরে গেলে তাকে বাহবা জানান। নিজেদের খেলার প্রতি এত নিবেদিত দেখে আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন তাদের সঙ্গী করে এমন একজনকে।

আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশনের (আইজেএফ) আলংকারিক সভাপতির পদে ছিলেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর আইজেএফ পুতিনের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি আইজেএফ সভাপতি পদে পুতিনের অবস্থান স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে আইজেএফের এই পদে ছিলেন পুতিন। ১৪ বছরের সম্পর্কে কালো দাগ লাগিয়ে দিয়েছে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App