×

শিক্ষা

ইবিতে ভর্তি জালিয়াতি, আটক এক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:৫৯ এএম

ইবিতে ভর্তি জালিয়াতি, আটক এক

ভর্তি জালিয়াতি চক্রের সদস্য আতিক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি জালিয়াতি চক্রের একজন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধ এলাকা থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। আটক হওয়া আতিক ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার রাণীনগরের মো. আবু বক্করের ছেলে।

ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী ঠাকুরগাঁওয়ের গোবিন্দ নগরের মোকাররম হোসেনের ছেলে আহনাফ মোর্শেদ। ভর্তির ব্যাপারে তার সঙ্গে আড়াই লাখ টাকার চুক্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে অংশ নেন আহনাফ মোর্শেদ। পরবর্তীতে ভর্তির জন্য আবেদন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে মেধাতালিকা না আসায় তার কলেজের বন্ধু ফরহাদ হোসেন তাকে অবৈধভাবে ভর্তির পরামর্শ দেন।

একই সঙ্গে তার পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বড় ভাই ইকবালের সহায়তা নিতে বলেন। আহনাফ তার বন্ধুর পরামর্শ অনুযায়ী, ইকবালের সঙ্গে কথা বললে, সে তাকে ভর্তি করিয়ে দিতে আশ্বস্ত করেন।

পরে ইকবাল শৈলকূপার বরদা এলাকার লালচাঁন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। এরপর লালচাঁন ওই ভর্তিচ্ছুকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে ডাকেন, সাক্ষাৎ করেন এবং আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি করানোর আশ্বাস দেন। সেদিন লালচাঁনের সঙ্গে আতিকও ছিলেন। এ সময় আহনাফের থেকে ১৮ হাজার টাকা নিয়ে রশিদের মাধ্যমে ৮ হাজার ১০০ টাকা ব্যাংকে জমা দেন। বিভাগের একাউন্টে টাকা জমা হয়েছে এবং কাগজপত্রে স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা পরাগ।

পরে আহনাফের আত্মীয়ের পরিচিত এক কর্মকর্তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। পরে ওই কর্মকর্তা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান। আহনাফের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধে জালিয়াতি চক্রের সদস্য আতিককে ডাকেন। তাৎক্ষণিক ডিবি পুলিশ তাকে হাতেনাতে আটক করেন। এ সময় তার হাতে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ভর্তির একটি ফরম পাওয়া যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলে ডিবি পুলিশ আতিককে ইবি থানায় সোপর্দ করেন।

এদিকে জালিয়াতি চক্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও উপ-রেজিস্টারের (শিক্ষা) স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ওই বিভাগে ভর্তির একটি তালিকা তৈরি করেন। সেই তালিকাটি ভুয়া এবং ভর্তির ক্ষেত্রে এমন কোন তালিকা দেয়া হয় না বলে নিশ্চিত করেছে রেজিস্ট্রার দপ্তর। তাৎক্ষনিক জিজ্ঞাসাবাদে স্থানীয় রাকিব ও লালচাঁনের নাম পুলিশকে জানান আতিক। তাদের নির্দেশ অনুযায়ী, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বলেও জানান।

প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জালিয়াতি চক্রের ওই সদস্যকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মামলা করেছেন বলে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাফিজুর রহমান নিশ্চিত করে বলেন, ভিক্টিম বাদী হয়ে মামলা করেছে। সোমবার আটক ব্যক্তিকে কোর্টে চালান করা হবে।

ভুক্তভোগী আহনাফ বলেন, পরিচিত এক লোকের মাধ্যমে লালচাঁনের সঙ্গে আড়াই লাখ টাকার চুক্তি হয়। ইতোমধ্যে তাদের ১৮ হাজার টাকা দিয়েছি। পরে আমার বাবা বাঁধা দেওয়ায় ও বিষয়টি অনিশ্চিত জেনে ক্যাম্পাসের পরিচিত এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ডেকে এনে পুলিশে ধরিয়ে দেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App