×

জাতীয়

নতুন ইসি জাতির আশা পূরণে সক্ষম হবে: আ.লীগের প্রতিক্রিয়া

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭:৫৬ পিএম

নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনারকে স্বাগত জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, সংবিধানের আলোকে আইন অনুযায়ী গঠিত এই কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির আশা-আকাঙ্খা পূরণে সক্ষম হবে। তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আরো শক্তিশালী করবে। দেশবাসীর আস্থার জায়গা ধরে রাখবে। সেইসঙ্গে শুধুমাত্র বিরোধীতার জন্য কমিশনকে যেনো বিতর্কিত করার চেষ্টা করা না হয়, সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিও আহ্বান জানান তারা।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন কমিশন গঠনের পর এক প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এবারই প্রথম আইনের মাধ্যমে সার্চ কমিটি কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটি সব রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে কথা বলে তাদের থেকে নাম নিয়ে ১০ জনের একটা চূড়ান্ত তালিকা করে রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি সেই তালিকা থেকে ৫ জন যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছেন। নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার যারা হয়েছেন, তারা প্রত্যেকেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষতা, সততা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই কর্মক্ষেত্রে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। আমাদের প্রত্যাশা তাদের অতীতের সততা, নিষ্ঠা ও যোগ্যতা দিয়েই দেশের মানুষের প্রত্যাশা তারা পূরণ করবেন। এই নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে আর যেন ভবিষ্যতে কোনো বিতর্কের সৃষ্টি না হয়, সেটা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের মূল দায়িত্ব হচ্ছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করবে। অনেক সময় অনেক রাজনৈতিক দল ইচ্চাকৃতভাবেই নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করে। সেটা যেন আর সুযোগ না পায়, সে ব্যাপারে এই কমিশন সতর্ক থাকবে- এটা আশা করি। সেইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনুরোধ যে এই কমিশনকে নিয়ে শুধুমাত্র বিরোধীতার জন্যই অযৌক্তিক-অপ্রাসঙ্গিক ও বিতর্কমূলক কথা বলে বিতর্কিত করার চেষ্টা না করা হয়, সেটাই জাতির প্রত্যাশা। নতুন কমিশন জাতির আশা-আকাঙ্খা পূরণে সমর্থ হবে।

আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য যে কমিশনারদের নিয়োগ দিয়েছেন, আমি তাদেরকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানাই। আমরা মনে করি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য নির্বাচন পদ্ধতে নির্বাচন মধ্য দিয়ে শক্তিশালী করার জন্য সব রাজনৈতিক দল ও সবার অংশগ্রহণ অপরিহার্য। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমাদের আস্থা-বিশ্বাস থাকার প্রয়োজন আছে। এই নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে। রাষ্ট্রপতি যাদেরকে নিয়োগ দিয়েছেন, তারা অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারা দেশবাসীর আস্থার জায়গাটা ধরে রাখতে দৃঢ়ভাবে সফল হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App