×

আন্তর্জাতিক

গুপ্তচর থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট, জেনে নিন পুতিনের অজানা কাহিনী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:৫০ এএম

গুপ্তচর থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট, জেনে নিন পুতিনের অজানা কাহিনী

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও স্ত্রী লুদমিলা পুতিনা

গুপ্তচর থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট, জেনে নিন পুতিনের অজানা কাহিনী

সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গুপ্তচর হতে শখ জাগে ভ্লাদিমির পুতিনের মনে

গুপ্তচর থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট, জেনে নিন পুতিনের অজানা কাহিনী
গুপ্তচর থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট, জেনে নিন পুতিনের অজানা কাহিনী

কারাতে শিখছেন পুতিন

গুপ্তচর থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট, জেনে নিন পুতিনের অজানা কাহিনী
গুপ্তচর থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট, জেনে নিন পুতিনের অজানা কাহিনী

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনের ওপর আক্রমণ চালায় রাশিয়া। ইউক্রেন-রাশিয়া নিয়ে বিতর্কের মাঝে মস্কো আক্রমণ চালাবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও চালানো হলো এই হামলা। একদিনের হামলাতেই বিপর্যস্ত ইউক্রেন। আর এই আক্রমণের পিছনে যার হাত, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ পুতিন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৪ সালে সেনাবাহিনী থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে যান ভ্লাদিমির স্পিরিদোনোভিচ পুতিন। বাড়িতে গিয়ে তিনি দেখতে পান কয়েকটি লাশ ট্রাকে তোলা হচ্ছে। কাছে যেতেই তিনি একজন নারীর জুতা দেখতে পান। এসময় পুতিন আঁচ করতে পারেন, এই জুতা তার স্ত্রী মারিয়া পুতিনার। সেসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

শেষকৃত্য করতে গিয়ে বুঝতে পারেন তার স্ত্রী এখনও বেঁচে আছেন। এরপরই আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন পুতিন। এর ঠিক আট বছর পর এক সন্তানের জনক-জননী হন তারা। আর সেই সন্তানের নাম ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ পুতিন।

[caption id="attachment_337126" align="aligncenter" width="700"] মা মারিয়া পুতিনার সঙ্গে শিশু পুতিন[/caption]

পুতিনের শৈশব কেটেছে দুরন্তপনায়। ছাত্রাবস্থায় সমবয়সী ছেলেদের সঙ্গে মারামারি করতেন। এমনকি স্কুলবয়সে বন্ধুদের নিয়ে একটি ‘গ্যাং’ গড়ে তুলেছিলেন।

তার অপরাধ জগৎ থেকে বাঁচার বিকল্প হয়ে ওঠে খেলাধুলা। একজন প্রশিক্ষকের কাছে শিক্ষা নিয়ে জুডোয় হাত পাকাতে শুরু করেন তিনি। অল্প বয়সেই অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেকে পারদর্শী করে তোলেন সদ্য যৌবনে পা দেয়া ভ্লাদিমির পুতিন।

সেই সময় জুডো-কারাতে খেলোয়াড়দের দিকে নজর রাখছিল রুশ গুপ্তচর সংস্থা কেজিবি। তবে ছোটবেলা থেকে রাশিয়ার গোয়েন্দা চরিত্র স্টিয়ারলিটজের দ্বারা অনুপ্রাণিত ভ্লাদিমিরের নিজেরও গুপ্তচর সংস্থায় যোগ দেয়ার ইচ্ছে ছিল।

[caption id="attachment_337127" align="aligncenter" width="700"] কারাতে শিখছেন পুতিন[/caption]

স্টিয়ারলিৎজের গল্পে নির্মিত ‘সেভেনটিন মোমেন্টস অব স্প্রিং’ সিনেমাটি ভ্লাদিমিরকে গুপ্তচর সংস্থায় যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করে। এ ছাড়াও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা বিভিন্ন সিনেমাও তাকে ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল গুপ্তচর সংস্থায় যোগ দিতে।

১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে কাজ করতেন আজকের রুশ প্রেসিডেন্ট। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তিনি ক্রেমলিনের কর্মী হিসেবে নিযুক্ত হন।

তবে গুপ্তচরদের পক্ষে একজন যেকোনো সাধারণ মানুষকে বিয়ে করে সংসার করা মুখের কথা না। গুপ্তচরদের সব সময়ই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। নিজের কাজ সম্পর্কে বলা যায় না পরিবারের সদস্যদেরও। গুপ্তচরদের সন্দেহের তালিকায় থাকেন সকলেই। নিজের সঙ্গী বা সঙ্গিনীকেও বিশ্বাস করাও কঠিন হয়ে পড়ে।

এমনই ঘটেছিল ভ্লাদিমিরের সঙ্গেও। কিন্তু তার সেই পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হন তার স্ত্রী লুদমিলা পুতিনা।

[caption id="attachment_337129" align="aligncenter" width="700"] স্ত্রী লুদমিলা পুতিনার সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিন[/caption]

প্রেম করার সময়ে লুদমিলাকে নিজের কর্মজীবন সম্পর্কে কিছুই জানাননি ভ্লাদিমির। কেজিবির বিষয়ে বলেছিলেন, পুলিশে কাজ করেন তিনি। এমনকি লুদমিলার চরিত্রও পরীক্ষা করে দেখেন তিনি।

প্রেমিকার চরিত্র যাচাই করতে লুদমিলার কাছে নিজের এক বন্ধুকে পাঠিয়েছিলেন ভ্লাদিমির। নিজেকে বড়লোক বলে জাহির করা ওই বন্ধু ভ্লাদিমিরের কথায় লুদমিলাকে প্রেমের প্রস্তাবও দেন। তবে লুদমিলা সাফ জানিয়ে দেন, তার এক জন ‘পুলিশ’ প্রেমিক আছে এবং তিনি তাকেই বিয়ে করতে চান।

এরপরই আর দেরি করেননি পুতিন। বুঝে গিয়েছিলেন, লুদমিলাই সঠিক জীবনসঙ্গী। ১৯৮৩ সালে বিয়ে করে নিজেদের দাম্পত্য জীবন শুরু করেন ভ্লাদিমির-লুদমিলা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App