×

জাতীয়

পি কে হালদারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ২৮তম মামলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৪:৪৮ পিএম

পি কে হালদারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ২৮তম মামলা

প্রতীকী ছবি

রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) প্রধান আসামি করে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এবারের মামলায় ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণের নামে এফ এ এস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৫ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করে ৩৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় পি কে হালদারের সঙ্গী হয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আরো ২০ জন। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা উপ-পরিচালক আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার ছাড়াও মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- ন্যাচার এন্টারপ্রাইজের পরিচালক মমতাজ বেগম, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের পরিচালক নওশেরুল ইসলাম, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. আবুল শাহজাহান, ডা. উদ্দাব মল্লিক, প্রদীপ কুমার নন্দী, অঞ্জন কুমার রায়, মো. আতাহারুল ইসলাম, কাজী মাহজাবিন মমতাজ, মাহফুজা রহমান বেবী, সোমা ঘোষ, সাবেক সিনিয়র অফিসার মিসেস তাসনিয়া তাহসিন রোজালিন, সিনিয়র অফিসার মৌসুমী পাল, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল হক গাজী, ম্যানেজার আহসান রাকিব, সাবেক এসইভিপি প্রাণ গৌরাঙ্গ রায় ও মো. জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, সাবেক ভিপি মো. মনিরুজ্জামান আকন্দ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মীর ইমাদুল হক।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কাগুজে প্রতিষ্ঠান ‘ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড’ এর নামে ৪৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়। যার সব নথিপত্র রেকর্ডপত্র ভুয়া। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট থেকে ৩৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে গোপন করার চেষ্টা করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৮৬০ এর ৪০৯ ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের জুলাইয়ের মধ্যে আত্মসাতের ঘটনা ঘটে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App