×

সারাদেশ

জুতা পায়ে শহীদ মিনারে সাতক্ষীরা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৩:৪৯ পিএম

জুতা পায়ে শহীদ মিনারে সাতক্ষীরা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা

সোমবার জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখা গেছে সাতক্ষীরা হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্মকর্তাকে। ছবি: ভোরের কাগজ

২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখা গেছে সাতক্ষীরা হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্মকর্তা ও জাতীয় শ্রমিকলীগের সাতক্ষীরার পক্ষ থেকে একজনকে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এ ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরার সচেতন মহল। ঘটনাটি জানাজানি হলে জেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা এঘটনায় দু:খ প্রকাশ করেছেন।

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করে জুতা পায় দিয়েই শহীদ মিনারে উঠে পড়েন জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের এস এ এস সুপারিনটেনডেন্ট মো. আব্দুস সোবহান,অডিটর পিজুস কুমার মণ্ডল,আনোয়ার হোসেন,জি এম মহিউদ্দীন ও এম এল এসএস গৌতম প্রমুখ। শহীদ বেদীতে জুতা পায়ে উঠার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে সাতক্ষীরাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতি সংগঠন ইতিমধ্যে এর তিব্র নিন্দা জানিয়েছে।

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন বলেন, শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে যদি উল্টো শহীদদের প্রতিনকোন সরকারি কর্মকর্তা অবজ্ঞা পোষণ করে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম বলেন, এটি খুবই দুঃখ জনক ঘটনা। সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমন আচরণ আপ্রত্যাশিত। তারা শুধু শহীদদের আত্মার প্রতি অশোভন আচরণ করেনি,তারা আমাদের আবেগের সাথে অবহেলা করেছে।

এঘটনায় সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন বলেন, মহান ভাষা দিবস,আমরা হৃদয়ে ধারন করি। সেখানে হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্মকর্তারা এধরনের কাজ করবে এটি মেনে নেওয়া যায় না।তাছাড়া আমরা বার বার ঘোষনা মঞ্চ থেকে ঘোষনা করেছি যেন ভুলেও জুতা পায়ে বেদীতে না ওঠে। তারপরও!

এবিষয়ে জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের এস এ এস সুপারিনটেনডেন্ট মো. আব্দুস সোবহান বলেন,আসলে আমি শারিরিক ভাবে অসুস্থ। আর ডিও স্যার খুলনায় চলে যাওয়ায় আমাকে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে বলা হয়েছিল। তাছাড়া প্রচন্ড ভীড় থাকার কারনে তাড়াহুড়ো করে জুতা পায়ে উঠে পড়েছিলাম। তাই খেয়াল করতে পারিনি। অন্য অফিসাররা কেন আপনার সথে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠেছেন জানতে চাইলে, তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তাহলে কি ইচ্ছাকৃত এ ঘটনার জন্ম দেওয়া?

যদিও তিনি এব্যপারে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারপরও কি কোনদিন আমরা ভুলতে পারবো ভাষা শহীদদের স্মৃতি স্তম্ভের এই অবঞ্জা? এ ঘটনায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, শহীদ মিনারে জুতা পায়ে যাওয়া কোন নিয়ম নেই। এটা কোন সরকারী কর্মচারীদের কাছে থেকে অনাকাক্সিক্ষত। ছবি বা ভিডিও দেখে আমি অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App