এনু-রুপনদের সর্বোচ্চ শাস্তি চায় রাষ্ট্রপক্ষ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:৪৯ পিএম
পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগের দুই নেতা এনামুল হক ভূঁইয়া এনু ও রুপন ভূঁইয়া
মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা এনামুল হক ভূঁইয়া এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুনানিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালতে এ দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর শওকত আলম। এ সময় তিনি মানি লন্ডারিং আইনে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছরের সাজা দাবি করেন।
পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। প্রথমে আসামি জয় গোপাল সরকারের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর এনু ও রুপনের পক্ষে তাদের আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। তবে আজ তা শেষ না হওয়ায় আগামী ২ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম। তবে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তুহিন জামিনে আছেন। অপর ৬ আসামি কারাগারে আছেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর দুদক আসামিদের সম্পদের অনুসন্ধান চালায়। অনুসন্ধানে আসামিদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রমাণিত হলে মামলা দায়ের করে দুদক। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে অভিযানসহ মামলার বিষয়ে জানতে পেরে গা ঢাকা দেন আসামিরা। তিন মাস পর ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি বিশেষ কৌশলে কেরানীগঞ্জের একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ দুই ভাই এনু ও রুপনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।