×

আন্তর্জাতিক

সুইস ব্যাংকে থাকা ১৮ হাজারের বেশি হিসাবের নথি ফাঁস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭:০৮ পিএম

সুইস ব্যাংকে থাকা ১৮ হাজারের বেশি হিসাবের নথি ফাঁস

সুইস ব্যাংক

বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেশ খ্যাতি রয়েছে সুইস ব্যাংকের। কিন্তু সম্প্রতি সেই সুইস ব্যাংকের ১৮ হাজারের বেশি হিসাবের নথি ফাঁস হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব ফাঁস হওয়া নথিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বৈরশাসক, দুর্নীতিবাজ গোয়েন্দা কর্মকর্তা, নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা ব্যবসায়ী, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী, মাদক ও মানব পাচারকারীর অ্যাকাউন্টের তথ্য রয়েছে। তাদের অ্যাকাউন্টে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ সব মিলিয়ে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

ক্রেডিট সুইচের এসব তথ্য ফাঁস করেছেন ব্যাংকটির এক স্বঘোষিত হুইসেলব্লোয়ার (গোপন তথ্য ফাঁসকারী)। তিনি ব্যাংকটির ১৮ হাজারের বেশি হিসাব সম্পর্কিত তথ্য জার্মান সংবাদমাধ্যম সুইডডয়চে সেইটুংকে সরবরাহ করেন। এরপর সেসব নথি বিশ্লেষণের কাজে যুক্ত হয় অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন অর্গানাইজিং ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস, গার্ডিয়ান, লা মঁদেসহ ৩৯ দেশের ৪৮টি সংবাদমাধ্যম।

ফাঁস হওয়া এসব নথির মধ্যে ১৯৪০ এর দশক থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত তথ্য রয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টের ৩০ হাজারের বেশি মালিকের মুখোশ উন্মোচন করা হয়েছে।

ক্রেডিট সুইসের ১৫ লাখ গ্রাহকের মধ্যে কেবল একটি অংশের তথ্যই এসেছে ফাঁস হওয়া নথিতে। এসব অ্যাকাউন্টের মালিকদের অনেকে ইতোমধ্যেই মারা গেছেন, অনেক অ্যাকাউন্ট বন্ধও হয়ে গেছে। অনেক অ্যাকাউন্ট এখনো চালু রয়েছে।

ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের যেসব গ্রাহকের তথ্য ফাঁস হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ এবং মিসরের সাবেক একনায়ক হুসনি মোবারকের দুই ছেলে। এছাড়াও রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান, যিনি ১৯৮০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে শত শত কোটি ডলার আফগানিস্তানের মুজাহিদীনদের পাঠিয়েছিলেন।

সুইস সিক্রেটস অনুসন্ধানে আরও অন্তত ৪০ জনের নাম পেয়েছেন সাংবাদিকরা, যারা বিভিন্ন সময়ে ডজনখানেক দেশের গোয়েন্দা দপ্তরের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এদের মধ্যে ভেনেজুয়েলার সাবেক আর্মি ক্যাপ্টেন কার্লোস লুই অ্যাগুইলেরা বোর্হাস, ইউক্রেনের সিকিউরিটি সার্ভিসের সাবেক প্রধান ভ্যালেরি খোরশকোভস্কি, মিসরের সাবেক গুপ্তচর আশরাফ মারওয়ানের নাম রয়েছে। এছাড়া ভেনেজুয়েলা, ইউক্রেন, জার্মানি, নাইজেরিয়া, উজবেকিস্তান, ইরাক, জর্ডান, ইয়েমেনের বেশ কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার নামও উঠে এসেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App