×

আন্তর্জাতিক

উত্তেজনার মাঝেই রাশিয়ায় পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:২৩ এএম

উত্তেজনার মাঝেই রাশিয়ায় পরমাণু অস্ত্রবাহী  ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা
ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট নিয়ে ইউরোপজুড়ে বিরাজ করছে টান টান উত্তেজনা। রাশিয়া কয়েক দিনের মধ্যেই ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই নানা ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে মস্কো। এর মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রও। খবর এএফপির ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েনের মধ্য দিয়ে সংকটের সূচনা হলেও দিন দিন তা বেড়েই চলেছে। রাশিয়াকে ঠেকাতে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোও পূর্ব ইউরোপে সেনা উপস্থিতি জোরদার করেছে। নানা পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় কূটনৈতিক বৈঠক হলেও আসেনি কোনো সমাধান। স্থানীয় সময় আজ শনিবার রাশিয়ার একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, ক্রেমলিনের একটি কক্ষে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো বসে আছেন। তাঁদের সামনেই একাধিক স্ক্রিনে হাইপারসনিক, ক্রুজ ও পারমাণবিক বোমাবাহী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের ভিডিও দেখানো হয়। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের সব কটিই লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বাইরেও টিইউ-৯৫ বোমারু বিমান ও সাবমেরিন নিয়ে মহড়া চালানো হয়েছে। এদিকে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সঙ্গে চলমান সংকটকে মেলাতে চাচ্ছে না রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, রুশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় সব শাখায় এমন মহড়া চালানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার কৌশলগত রকেট ফোর্স থেকে শুরু করে উত্তরাঞ্চলীয় ও কৃষ্ণসাগরের মোতায়েন করা সামরিক বহরও। এই বহরে পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সাবমেরিন রয়েছে। তবে রাশিয়া যা–ই বলুক যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইউক্রেনে হামলা চালাতে মনস্থির করে ফেলেছে মস্কো। মার্কিন তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার রুশ সেনা মোতায়েন রয়েছে। এর সঙ্গে পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের যোগ করলে সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ৯০ হাজারে। এদিকে বেলারুশে চলছে দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া। সেখানে প্রায় ৩০ হাজার রুশ সেনা অবস্থান করছে। আগামীকাল রোববার মহড়া শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এরপরই সেনারা নিজ ঘাঁটিতে ফিরে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে মস্কো। তবে ন্যাটোর উদ্বেগ, ইউক্রেনে হামলায় অংশ নিতেই ওই সেনাদের বেলারুশে রাখা হয়েছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, পুতিন ইউক্রেনে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন। যেকোনো সময় রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। পরদিন শনিবার একই কথা বলেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ন্যাটোর সদস্যদেশ লিথুয়ানিয়ায় সফরকালে তিনি বলেন, হামলা চালানোর জন্য রুশ বাহিনী প্রস্তুত। আক্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় অবস্থানে তাদের পাঠানো হচ্ছে। যদিও ক্রিমিয়া থেকে সম্প্রতি বেশ কিছু সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো। তবে রাশিয়ার এমন ‘কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল নেই’ বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের। স্যাটেলাইট থেকে ধারণ করা ছবির বরাত দিয়ে দেশটি বলছে, আদতে কোনো সেনা প্রত্যাহার করা হয়নি। ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার মাথাব্যথার মূল কারণ দেশটির ন্যাটোতে যোগ দিতে তত্পরতা। জোটটিতে ইউক্রেন যোগ দিলে তা রাশিয়ার জন্য হুমকি বলে মনে করে ক্রেমলিন। এ কারণেই দেশটিকে ন্যাটোর বাইরে রাখতে পশ্চিমাদের কাছে প্রতিশ্রুতি চেয়ে আসছে তারা।    

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App