×

জাতীয়

মাদক ও সীমান্ত হত্যা বন্ধে সহযোগিতা প্রয়োজন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০১:৪৪ পিএম

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম বলেছেন, মাদক চোরাচালান ও সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে জনসচেতনা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। বিশ্বস্ততা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বিজিবি সমগ্র জাতির শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ৯৭তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে অবস্থিত বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজ (বিজিটিসিএন্ডসি) এর বীর উত্তম মুজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। তিনি সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম বলেন, কিংবদন্তি মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই বাহিনী সুনাম ও সাফল্যের পথ পরিক্রমায় আজ বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মর্যাদা লাভ করেছে। বিজিবি আজ একটি সুসংগঠিত, চৌকস, সুশৃঙ্খল ও পেশাদার দেশপ্রেমিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বিজিবি ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে দেশের ৪ হাজার ৪২৭ কি.মি. দীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষা, সীমান্ত ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, সীমান্তে চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার রোধসহ সব ধরণের সীমান্ত অপরাধ দমনে কাজ করছে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার সুমহান দায়িত্ব অত্যন্ত দৃঢ়তা ও সফলতার সঙ্গে পালন করে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান, যেকোন দুর্যোগময় মুহুর্তে জনগণের পাশে দাঁড়ানো এবং বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিজিবি বিশ্বস্ততা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। সেবা ও কর্তব্যপরায়ণতার মাধ্যমে সমগ্র জাতির শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, কোনো একটা বাহিনীর পক্ষে মাদক দ্রব্য এবং অন্যান্য পণ্যের চোরাচালান ঠেকানো সম্ভব না। একইভাবে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতেও সীমান্তে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। দেশের ভেতরে জনসচেতনতা বাড়াতে পারলেই চোরাচালান এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে। বিজিবি সর্বশক্তি দিয়ে মাদকের চালান ধরতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বিজিটিসিএন্ডসিতে প্রশিক্ষণ নেয়া মোট ৬৭০ জন রিক্রুট এর মধ্যে ৬২১ জন পুরুষ এবং ৪৯ জন নারী রিক্রুট প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও একই দিনে ও একই সময়ে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি)-এর প্রশিক্ষণ ভেন্যুতে ৯৭তম রিক্রুট ব্যাচের ২১৫ নবীন সৈনিকের মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘ ২৪ সপ্তাহের কঠোর ও কষ্টসাধ্য প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করে দুইটি ভেন্যুতে ৮৮৫ জন নবীন সৈনিক আজ আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ ও সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে তাদের সৈনিক জীবনের শুভ সূচনা করল। ৯৭তম রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে শুরু হয়। ৯৭তম রিক্রুট ব্যাচের অফিসার ইনচার্জ মেজর মোঃ সেলিমুদ্দোজা এবং প্যারেড অ্যাডজুটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বিজিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসন ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App