×

সারাদেশ

সবার মন কাড়ল ৭০ কেজি ওজনের ভেড়া

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৩:৪৯ পিএম

সবার মন কাড়ল ৭০ কেজি ওজনের ভেড়া

শ্বেত বর্ণের ৭০ কেজি ওজনের ভেড়াটি

প্রদর্শনীর স্টলগুলোতে গরু, ছাগল, ভেড়াসহ নানা জাতের কবুতর থাকলেও সবার দৃষ্টি ছিল ৭০ কেজি ওজনের একটি ভেড়ার দিকে। শ্বেত বর্ণের এই ভেড়াটিই যেন প্রদর্শনীর মূল আকর্ষণ। সকালে প্রদর্শনী দেখতে পৌরশহরের দেবগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা আনিস মিয়া বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এতো বড় ভেড়া এর আগে আমি কখনও দেখিনি। ভেড়াটি দূর থেকে দেখলে সবার কাছে গরু বলেই মনে হবে।

রাধানগর গ্রামের সাদেক মিয়া নামের এক যুবক বলেন, ৭০ কেজি ওজনের ভেড়ার কথা শুনে দেখার জন্য সকাল থেকেই এখানে এসে অপেক্ষা করছি। দর্শনার্থীর ভীড় ঠেলে স্টলের সামনে যেতেই দেখা যায় একজন পরম যত্নে ভেড়াটিকে ভুসি খাওয়াচ্ছেন। তার নাম মন্তাজ মিয়া। বাড়ি উপজেলার নয়াদিল গ্রামের উত্তর পাড়ায়। গ্রামে তার একটি খামার আছে। খামারে তিনি গরু, মহিষসহ নানা জাতের পশু পালন করেন।

বছর খানেক আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সহিলপুর থেকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ৬ ছয়মাস বয়সী উন্নত জাতের এই ভেড়াটি (গাড়ল) তিনি ক্রয় করেন। লালন-পালন করার পর এক বছর বয়সী এই ভেড়ার ওজন এখন প্রায় ৭০ কেজি। মন্তাজ মিয়ার  সাফল্যের গল্প এখানেই শেষ নয়। প্রজনন করে তার খামারে এখন এই জাতের ১০টি ভেড়া। মনতাজ মিয়া জনান, গাড়ল  জাতের ভেড়ার রোগবালাই নেই বললেই চলে। সারাদিন মাঠে চড়িয়ে রাখি। রাতে পুকুর পাড়ে এনে, ঘাস, বন ও ভুসি দেওয়া হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুয়েল মজুমদার বলেন, গাড়ল ভেড়ার একটি উন্নতজাত। গবেষকরা ধারণা করছেন, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল সীমান্ত এলাকা ও ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মেদিনীপুর এবং মালদহ অঞ্চলে এর আদি নিবাস। এই জাতটি অন্যান্য জাতের ভেড়া থেকে কিছুটা আলাদা। এই জাতের ভেড়ার গড়ন দ্রুত বাড়ে। মাংস উৎপাদন হয় অনেক বেশি। এই কারণে অন্যান্য জাতের ভেড়ার চেয়ে এই জাতের ভেড়া পালন করে খামারিরা অনেক বেশি লাভবান হয়। এছাড়া তার পশম অনেক উন্নত। এই পশম দিয়ে অনেক উন্নত মানের জিনিস তৈরি করা যায়।

এদিকে বুধবার সকালে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছরীন শফিক আলেয়া। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম, পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুল মিয়া, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জান্নাত হোসেন ইশানসহ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুয়েল মজুমদার বলেন, প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীদের জন্য ২৩টি স্টল রয়েছে। আগত সবার জন্য মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App