আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে (নাসিক) একটি মডেল নির্বাচন হয়েছে। নারায়ণগঞ্জবাসী নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকায় ভোট দিয়েছেন। এই নির্বাচনে জাতি একটি বার্তা দিয়েছেন, সেটা হলো দেশের মানুষ এখন উন্নয়নের পক্ষে, নৌকার পক্ষে। এই বার্তা জানতে পেরে আতঙ্কিত হয়েছে সাম্প্রদায়িক একটি দল। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির কাছ থেকে যে বার্তা গেছে, তাতে তারা (বিএনপি) উন্মাদ হয়ে গেছে। সেই উন্মাদনায় তাদের কিছুই ভালো লাগে না। তাদের ভালো না লাগার এই ঔষধ আমাদের কাছে নাই। এই ঔষধ হলো দেশের জনগণ।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নাসিক নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মশিউর রহমান হুমায়ুন, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহীর সদস্য শাহাবুদ্দীন ফরাজি প্রমুখ।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, তারা (বিএনপি) আগামী নির্বাচনে জনগণের কাছে থেকে প্রত্যাখ্যাত হবে জানতে পেরে তাদের এখন ভালো লাগে না। এই ভালো না লাগার দলটি হলো বিএনপি। তিনি বলেন, এই দলটি কিভাবে এগিয়ে যাবে? তারা হলো মাহুত ছাড়া হাতি। যে দলের কোনো নেতা নেই, সে দলের কোনো মাথা নেই। এটাই হলো বিএনপি। সে দলের (বিএনপি) কোনো অস্তিত্ব নেই।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১৯৯৬ সালে ভোট চুরি করে পবিত্র সংসদকে কলঙ্কিত করেছিল বিএনপি। সেই বেহায়ারা আবার আমাদের দেশের মানুষকে গণতন্ত্রের কথা বলে। যাদের জন্ম হয়েছে সোনা ছাউনিতে, যারা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল তারা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে। কিভাবে দেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে তারা? তারাই আজও দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করেছে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে ষড়যন্ত্র করছে।

সার্চ কমিটি নিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে গত ৫০ বছর যে আইন করা হয়নি, নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে পাকাপোক্ত করা হয়নি। শেখ হাসিনা সেই আইন করে নির্বাচনী ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা নির্বাচন আইন করে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করেছে, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছেন। বিএনপি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, তারা কিভাবে গণতন্ত্রের কথা বলে। যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল তারাই দেশের মানুষকে গণতন্ত্র শেখায়। বিএনপির হাতে কখনও গণতন্ত্র নিরাপদ না, এটা দেশের মানুষ ভালো করে জানে।