×

আন্তর্জাতিক

সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হাঁস!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:৪৪ এএম

সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হাঁস!

চীন সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হাঁস ব্যবহার করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হাঁস!
সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হাঁস!

ভিয়েতনাম সীমান্ত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে হাঁস ব্যবহার করছে চীন।

কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পরা ঠেকাতে চীন অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। চীনের সীমান্তে অনেক প্রশস্থ জায়গা রয়েছে, যার ফলে সেখান থেকে মানুষ বিতাড়িত করা খুবই কঠিন।

দেশটির গুয়াংজি প্রদেশের লংজৌ কাউন্টিতে ভিয়েতনামের সঙ্গে ১৮৪ কিলোমিটার ভূমি ও ২২ কিলোমিটার জলভাগ রয়েছে। যার ফলে অনেকটা বাঁক ও পথ পেরিয়ে বর্ডার পেট্রোলকে সীমান্তের ওপর নজরদারি করতে হয়।

সৌভাগ্যের বিষয়, গত বছরের গ্রীষ্মকাল থেকে এক্ষেত্রে তারা নতুন একটি উপকরণ পেয়েছে, আর সেটি হচ্ছে হাঁস।

গত বছরের জুন মাসে লংজৌ কাউন্টি সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পরীক্ষামূলকভাবে হাঁস ব্যবহার শুরু করা হয়, এবং তারা খুব দ্রুত বিস্ময়কর ফলাফল দেখতে পায়।

দৃশ্যত সীমান্তে অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে অচেনা আগন্তুক ও অস্বাভাবিক কোলাহল শনাক্তের ক্ষেত্রে কুকুরের চাইতেও হাঁস অনেক বেশি সতর্ক।

সেপ্টেম্বরে হাঁসের টিমকে লংজৌ এলাকায় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়। এবং তারও আগে থেকে প্রতিটি সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ টিমে এক জোড়া হাঁস অন্তর্ভুক্ত করা হয়। চায়না নিউজের মতে, দেশটিতে বর্তমান সময়ে দুটি হাঁস, একটি কুকুর এবং সীমান্ত এলাকার দুজন স্থানীয় অধিবাসীর সমন্বয়ে গড়া টিমকে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে গণ্য করা হয়।

লংজৌ কাউন্টিতে উঁচু পাহাড় পরিবেষ্টিত অনেক গ্রাম ও শহর রয়েছে। ঘন বন ও মাকরসার জালের মতো বিস্তৃত পথ রয়েছে যা ব্যবহার করে ছিঁচকে চোররা দেশটিতে প্রবেশ করতে পারে। যাই হোক, হাঁসের ব্যবহার সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও অবৈধভাবে বিভিন্ন পণ্য ও বন্যপ্রাণী পাচার রোধ করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম সেটি প্রমাণ হয়েছে।

নাগুয়ায় অবস্থিত স্টেশনের স্থানীয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এজেন্ট লি ফেই বলেন, এ হাঁসগুলো শব্দের প্রতি খুবই সংবেদনশীল। তারা সামান্য বিরক্ত হলেই চিৎকার শুরু করে দেয়। এবং তারা অচেনা মানুষ দেখলে অনেক জোড়ে চিৎকার করে।

সবকিছু বিবেচনা করে লংজৌতে হাঁস গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। সর্বশেষ মাসগুলোতে চংজু শহরেও হাঁসের ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হয়েছে। যার ফলে বর্তমানে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভিয়েতনাম  সীমান্তের মহামারী প্রতিরোধ কেন্দ্রে কুকুরের চেয়ে হাঁসের সংখ্যা বাড়ছে।

বর্তমানে সীমান্তের ৩০০ মহামারী প্রতিরোধ কেন্দ্র ও চেকপয়েন্টে ৪০০ কুকুর ও ৫০০ হাঁস মোতায়েন রয়েছে। আশা করা হচ্ছে হাঁসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। খবর অডিটি সেন্ট্রাল ডটকমের।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App