×

খেলা

মিরাজের স্পিন ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৫:০১ পিএম

মিরাজের স্পিন ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম

খুলনার বিপক্ষে জয়ের পর সতির্থদের সঙ্গে উল্লাসে মাতেন মেহেদি হাসান মিরাজ

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরে সোমবার (১৪ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স-খুলনা টাইগার্স। এদিন দুই দলের জন্য এই ম্যাচটি ছিল বাঁচা মরার লড়াই। কারণ জিতলে টুর্নেমেন্টে টিকে থাকবে, হারলেই বাদ। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় আফিফ হোসেনের দল। জবাবে ৫উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় মুশফিকরা। ফলে ৭ রানে জিতে টুর্নেমেন্টে টিকে রইল চট্টগ্রাম। এই ম্যচে জয়ের নায়ক স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে ম্যাচসেরা পুরস্কার জিতেছেন চ্যাডইউক ওয়ালটন।

১৯০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন আন্দ্রে ফ্রেচার। দলীয় ২১ রানে আউট হন মেহেদি হাসান। তিনি ২ রান করেন। সৌম্য সরকারও এদিন ব্যাট হাতে ছিলেন নিস্প্রভ। তিনি ১ রান করে সাজঘরে ফিরেন। তবে দলীয় ৪৩ রানে ২ উইকেট হারালেও চাপে পড়েনি অধিনায়ক মুশফিক। তিনি আন্দ্রে ফ্রেচারকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন। কিন্তু দলীয় ১০৭ রানে আউট হন মুশফিক। দ্রুত খেলতে গিয়ে তিনি ২৯ বলে একটি ৪ ও চার ছক্কা হাঁকিয়ে ৪৩ রান করেন। মুশফিক আউট হবার পর ব্যাট হাতে গর্জে ওঠেন ইয়াসির আলি। তিনি ২৪ বলে দুই ৪ ও চার ছক্কায় ৪৫ রান করে আউট হন। শেষ ওভারে খুলনার প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। তখন বোলিংয়ে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচে চমৎকার স্পিন ঘূর্ণিতে মিরাজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তোলেন। আন্দ্রে ফ্রেচার ৮০ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এদিন মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি আফিফ বাহিনী। তাছাড়া খুলনার বিপক্ষে চট্টগ্রামকে নামতে হয়েছে তাদের রান মেশিন উইল জ্যাকসকে ছাড়া। তিনি ফুড পয়জনিংয়ের কারণে ম্যাচের আগে ছিটকে যান। উইল জ্যাকস না থাকায় চট্টগ্রামের ওপেনিংয়েও দেখা যায় বেহাল দশা। দলীয় ১২ রানে কেন্নার লুইস-জাকির হাসানের ওপেনিং জুটি ভেঙে যায়। শূন্য রানে ফেরেন জাকির। তিনে নেমে আফিফও ৩ রান তুলে সাজঘরে ফিরেন। শামীম হোসেন পাটোয়ারীও বিপদের মুহূর্তে দলের হাল ধরতে পারেনি। ৭ বলে ১০ রান করে ফেরেন সাজঘরে। এক সময় ম্যাচের ফল দেখে মনে হচ্ছিল উইল জ্যাকস না থাকায় ধুকছে চট্টগ্রাম। কিন্তু তার না থাকার আক্ষেপ মিটে যায় চ্যাডইউক ওয়ালটনের ঝড়ে। আর তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে গেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাতেই চট্টগ্রাম পেয়ে যায় চ্যালেঞ্জ করার মতো সংগ্রহ। খুলনার বোলারদের দিশেহারা করে ওয়ালটন মাত্র ৪৪ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তার ইনিংস সাজানো ছিল ৭টি করে চার-ছয়ে। ফিফটি করেছেন মাত্র ২৮ বলে। অথচ ওয়ালটন রাউন্ড রবিন লিগের ১০ ম্যাচের মধ্যে খেলেছেন মাত্র চারটি। এতে করেছেন ৫১ রান। ফলে এদিন ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকে। ওয়ালটনের শুরুটা হয়েছিল ধীর গতির। প্রথম ১৭ বলে আসে ১১ রান। ইনিংসের ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে মেহেদী হাসানকে ফাইন লেগে চার মেরে শুরু, পরের বলে আবার তার মাথার উপর দিয়ে ছয়! মাঝে রুয়েল মিয়ার করা ১৫তম ওভারে ওয়ালটন দুই ছয়, দুই চারে নেন ২২ রান। থিসারা পেরেরার করা ১৯তম ওভারে আবার চড়াও হয় ওয়ালটনের ব্যাট। ৩ চার ও ১ ছয়ে করেন ২০ রান!

ওয়ালটন-মিরাজের পঞ্চম উইকেটের জুটি থেকে ৫৮ বলে আসে ১১৫ রান। মিরাজ ৩০ বলে ৩৬ রান করে ফিরলে ইনিংসের শেষ ওভারে ভাঙে এই জুটি।

খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নিয়েছেন খালেদ আহমেদ। বেশি খরুচে ছিলেন পেরেরা-মেহেদী। পেরেরা ৩ ওভারে ৩৮ রান দেন। মেহেদী সমান ওভারে বল করে ১ উইকেট নিয়ে দেন ৩৭ রান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App