×

খেলা

কুমিল্লাকে হারিয়ে ফাইনালে বরিশাল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:৪০ পিএম

কুমিল্লাকে হারিয়ে ফাইনালে বরিশাল

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে ফরচুন বরিশালের ফিল্ডারদের উল্লাস

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে সোমবার রাতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১০ রানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। এ ম্যাচ হারলেও ইমরুল কায়েসের দলের ফাইনালে ওঠার সুযোগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এলিমিটরের খেলায় সোমবার দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৭ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১৬ ফেব্রুয়ারি কোয়ালিফাইয়ারের দ্বিতীয় খেলায় মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বিজয়ী দল ১৮ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশালের।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। শুরুটা দারুণ করেছিলেন বরিশালের দুই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ও ক্রিস গেইল। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারের মধ্যে তারা স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৫৭ রান। কিন্তু সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে যান গেইল। ১৯ বলে ৪ চারে ২২ রান করে শহিদুল ইসলামের বলে ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এ ক্যারিবিয়ান ওপেনার। এরপর দশম ওভারে তানভির ইসলামের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুনিম। এদিনও ৩০ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কার ঝড়ো ইনিংস খেলেন এ ওপেনার। এরপর বরিশাল শিবিরে ধ্বস নামা শুর হয়। অধিনায়ক সাকিব ১ রান করে রান আউট হন।

এরপর শান্ত ১২ বলে ১৩ রান ও তৌহিদ হৃদয় ৩ বলে ১ রান করে আউট হলে বরিশাল চাপে পড়ে যায়। ১২.১ ওভারে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৯৪ রানে ৫ উইকেট। সুনিল নারিন ও মঈন আলীর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বরিশাল নাকনি-চুবানি খেতে থাকে। এরপর জিয়াউর রহমান ও ডোয়াইন ব্রাভো কিছুটা হাল ধরতে চেষ্টা করেন। কিন্তু দলীয় ১১০ রানে সুনিল নারিনের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ১২ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন জিয়া। এরপর ব্রাভো ২১ বলে ১৭, নুরুল হাসান ১৩ বলে ১১ ও মুজিবের ৬ বলে ৬ রানের ওপর ভর করে ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে বরিশালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৩। প্রথমে যতটা বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখা গেছে শেষটায় ততো ভালো হয়নি। কুমিল্লার হয়ে শহিদুল ইসলাম ৩ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট, মইন আলী ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। এছাড়া নারিন ও তানভির পেয়েছেন ১টি করে উইকেট। সুনিল নারিন ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়েছেন, যার একটি ওভার মেডেন।

১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দুই ওপেনার খেলেছেন ধীরগতিতে। তবে প্রথম উইকেট জুটি টিকে ছিলো ৬২ রান পর্যন্ত। ১১ তম ওভারে মাহমুদুল হাসান জয় ৩০ বলে ২০ রান করে মেহেদি হাসান রানার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। পরের ওভারেই দুই ব্যাটসম্যান আউট হলে চাপে পড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ১১.৩ ওভারে শফিকুল ইসলামের বলে ক্যাচ দিয়ে ৫ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। একবল পরই আরেক ওপেনার লিটন দাস ৩৫ বলে ৩৮ রান করে শিকার হন শফিকুল ইসলামের। এরপর কুমিল্লার ম্যাচের হাল ধরেন দুই বিদেশি। মঈন আলী ১৫ বলে ৩ ছক্কায় ২২ রান করে কিছুটা এগিয়ে দেন কুমিল্লাকে। ১৬ তম ওভারে ব্রাভোর বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এ ইংলিশ অলরাউন্ডার। ১৯ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মেহেদি হাসান রানার বলে সুনিল নারিনের ক্যাচ মিস করেন ডোয়াইন ব্রাভো।

পরের বলেই মেহেদি হাসান রানার শিকার হন আগের ম্যাচে শতক হাঁকনো ফাফ ডু প্লেসিস। ১৫ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ২১ রান করে তৌহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এ দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান। কুমিল্লার ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন শেষ হয় এই ওভারেই। শেষ ওভারে দরকার হয় ১৮ রানের। শেষ ওভারের প্রথম বলেই মুজিব উর রহমানের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরনে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এরপর তৃতীয় বলে ছয় মেরে খেলা জমিয়ে তুলেছিলেন নারিন। কিন্তু শেষ ২ বলে যখন ১১ রান প্রয়োজন তখনই মুজিবের বলে নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন নারিন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানে থামে কুমিল্লার ইনিংস। বরিশালের হয়ে মুজিব উর রহমান, শফিকুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান রানা প্রত্যেকে পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। অপর উইকেট তুলে নেন ডোয়াইন ব্রাভো। ম্যাচসেরা হয়েছেন বরিশালের মেহেদী হাসান রানা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App