×

চিত্র বিচিত্র

৯৯ বছর বয়সেও স্কুলে যাচ্ছেন তিনি!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:১৪ পিএম

৯৯ বছর বয়সেও স্কুলে যাচ্ছেন তিনি!

প্রিসিলা সিটিয়েনি। ছবি: সংগৃহীত

যে বয়সে মানুষ নাতি-নাতনি কিংবা তাদের সন্তানদের স্কুলে পড়তে দেখেন, সেই বয়সে স্কুলে যেতে শুরু করলেন কেনিয়ার প্রিসিলা সিটিয়েনি।

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ৯৯ বছরে পা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু শিক্ষার প্রতি অগাধ আগ্রহ তাকে স্কুলে নিয়ে গেছে। এখন তিনি দেশটির প্রত্যন্ত এক গ্রামে পাথর দিয়ে তৈরি ক্লাসরুমে ছোট ছোট শিশুদের সঙ্গে ক্লাস করেন। তার থেকে ৮ দশকেরও বেশি ছোট এই শিশুদের মতো করে স্কুল ড্রেসও পরেন তিনি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে প্রিসিলা বলেন, এই বয়সে এসে স্কুলে ফিরে যাওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি তার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি উদাহরণ রেখে যেতে চান। একইসঙ্গে এর মাধ্যমে একটি নতুন ক্যারিয়ারও বেছে নিচ্ছেন তিনি। পড়াশুনা করে তিনি চিকিৎসক হতে চান বলেও জানান।

তার এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিয়েছেন তার সন্তানেরা। ২০০৩ সাল থেকে পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিতে শুরু করে। এরপরই দেশগুলোর বয়স্ক জনগোষ্ঠী, যারা অর্থের অভাবে পড়াশোনা করতে পারেননি তাদের অনেকেই স্কুলে ফিরতে শুরু করেন। এটি তাদের কাছে স্বপ্নের মতো।

এই বয়সে স্কুলে গিয়ে এর আগে অনেকেই গণমাধ্যমের আকর্ষণে পরিণত হয়েছেন। প্রিসিলাও তাদের একজন। এরইমধ্যে তিনি প্যারিস সফর করেছেন। তাকে নিয়ে সেখানে নির্মিত হয়েছে ‘গোগো’ নামের একটি চলচ্চিত্র। তার কালেনজিন ভাষায় গোগো শব্দের অর্থ হচ্ছে দাদীমা। নিউ ইয়র্কেও চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়া হচ্ছে। সেখানেও যোগ দিতে যাবেন প্রিসিলা। স্কুলে গিয়ে রীতিমতো সিনেমার তারকা বনে গেছেন তিনি। বর্তমানে প্রিসিলা ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ছেন।

প্রিসিলা বলেন, তার নাতনির এক মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পরায় স্কুল ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। স্কুলে তার যে বেতন দেয়া ছিল তা দিয়েই আবারও পড়াশুনা শুরু করেন প্রিসিলা। তিনি চান তার পরবর্তী প্রজন্ম পড়ালেখা ছেড়ে না দিক। নিজেকে স্কুলে ভর্তির মাধ্যমে তাদেরকে উৎসাহিত করছেন তিনি। প্রিসিলা জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি স্কুলের অন্যান্য কার্যক্রমও পছন্দ করেন। শারীরিক শিক্ষার ক্লাসও করেন তিনি। তার ভাষায়, এটি আমাকে সুস্থ্ রাখছে। আমি লাফাতে পারি। যদিও আমার সহপাঠীদের মতো ভালো করে পারি না। কিন্তু আমি অন্তত আমার শরীর নড়াতে পাড়ছি। এটাই আমার আনন্দ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App