×

খেলা

সিলেটকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করল চট্টগ্রাম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৪:৪২ পিএম

সিলেটকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করল চট্টগ্রাম

শনিবার বিপিএলের অষ্টম আসরে সিলেটকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করে উল্লাসে মাতেন চট্টগ্রামের খেলোয়াড়রা। ছবি: ভোরের কাগজ

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরে পয়েন্ট টেবিল নিয়ে এখন বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স-সিলেট সানরাইজার্স মুখোমুখি হয়। হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করে রবি বুপেরা বাহিনী। জবাবে ৬ উইকেট খুইয়ে ১৮৮ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। ফলে তারা ৪ উইকেটে জয়লাভ করল। সেই সঙ্গে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করল চট্টগ্রাম। এ জয়ের নায়ক উইল জ্যাকস। এমনকি তিনি ৫৭ বলে ৯১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচসেরা পুরস্কারও জিতেছেন। তাছাড়া এর আগে ৯ ম্যাচে চট্টগ্রাম-খুলনার পয়েন্ট ছিল ৮ করে।

দশম ম্যাচে সিলেটকে হারিয়ে ১০ পয়েন্ট তুলে কোয়ালিফায়ারের টিকিট নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম। সেই সঙ্গে ১০ ম্যাচে মাত্র ১ জয়ে তলানিতে থেকে বিপিএল শেষ করল সিলেট। এবার বিপিএলে বরিশাল-কুমিল্লা কোয়ালিফায়ার আগেই নিশ্চিত করেছে। ১০ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে সাকিবের দল। ৯ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে কুমিল্লা। আর ১০ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকার অবস্থান এখন চতুর্থ স্থানে।

এছাড়া দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেটের দেয়া ১৮৬ রানের লক্ষে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই করেন চট্টগ্রামের ওপেনার উইল জ্যাকস। কিন্তু তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেনি কেউ। দলীয় ২৫ রানে সোহাগ গাজীর বলে সাজঘরে ফিরেন জাকির হাসান। তিনি ১৭ রান করেন। এরপর দলীয় ৩৯ রানে আউট হন অধিনায়ক আফিফ। চতুর্থ নম্বরে মাঠে নেমে উইল জ্যাকসকে সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করেন ওয়ালটন। কিন্তু তারাহুড়ো করে খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৩৫ রান তুলে সাজঘরে ফিরেন ওয়ালটন। এরপর দলীয় ১৪৩ রানে আউট হন বেনি হাওয়েল। ৪ উইকেট হারালেও চাপে পড়েননি উইল জ্যাকস। তিনি ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন। উইল জ্যাকস ৫৭ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৯১ রান করেন।

এদিন মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে সিলেটকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল চট্টগ্রাম। আফিফ বাহিনী বল হাতে শুরুটা ভালো করতে পারেনি। ফলে প্রতিপক্ষের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই ছিল সিলেটের। উদ্বোধনী জুটিতে ৪.৫ ওভারে ৪১ রান করেন কলিন ইনগ্রাম ও এনামুল হক বিজয়। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১ চার ও ২ ছয়ের মারে ২৪ রান করা ইনগ্রাম। পরের ওভারে আউট হন মিজানুর রহমান। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর তিন শিকারের প্রথমটিতে পরিণত হওয়ার আগে ৩ বলে কোনো রান করতে পারেননি মিজানুর।

এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬.২ ওভারে ৫৪ রান যোগ করেন বিজয়-সিমন্স। কিন্তু দুজনের কেউ হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি। মৃত্যুঞ্জয়ের ১৩তম ওভারে প্রথম বলে সিমন্স ব্যক্তিগত ৪৭ রান করে আউট হন। এরপর মৃত্যুঞ্জয়ের একই ওভারে চতুর্থ বলে সাজঘরে ফেরার আগে বিজয় ২৫ ২৯ রান করেন। তবে ইনিংসের বাকি পথটা সামাল দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও বর্তমান অধিনায়ক রবি বোপারা। তারা দুজন মিলে মাত্র ৬.৫ ওভারে ৮০ রান যোগ করেন। সৈকত-বোপারার ঝড়ে শেষের ৪ ওভার থেকেই ৬১ রান তুলে নেয় সিলেট। একদম শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ২ চার ও ৪ ছয়ের মারে মাত্র ২১ বলে ৪৪ রান করেন বোপারা। অন্যদিকে ৩ চার ও ২ ছয়ে ২২ বলে ৩৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক সৈকত।

চট্টগ্রামের পক্ষে বল হাতে মৃত্যুঞ্জয় নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া মেহেদি মিরাজ ও শরিফুল ইসলামের শিকার ১টি করে উইকেট।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App