×

পুরনো খবর

শীতের দিনে আগুন পোহানোর ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০১:৫৩ এএম

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রকৃতির নিয়মে আবর্তিত হয় এক ঋতু থেকে আরেক ঋতুতে। বছর ঘুরে আসে শীত। তবে শীতের এই সময়টা সবার জন্য আনন্দদায়ক হয় না। থাকে না যাদের শীত নিবারণের পর্যাপ্ত পোশাক। হিংস্র বাঘের বিষদাঁতের মতো শরীরে বসে যায় শীতের তীব্রতা। তখন প্রাণ বাঁচানোটা হয়ে যায় প্রধান কাজ। যার পরিপ্রেক্ষিতে শহরের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো এবং গ্রামের দরিদ্র শীতার্তদের প্রায়ই দেখা যায় খড়কুটো অথবা পরিত্যক্ত লাকড়ি দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ৬/৭ জন মিলে আগুন পোহাতে, আগুনের উষ্ণতা তখন হয়ে ওঠে পরম শান্তিদায়ক। যেন উঠতেই মন চায় না। কিন্তু এ শান্তিময় অগ্নি উষ্ণতা অনেক সময় হয়ে ওঠে প্রাণনাশের কারণ। মানবসভ্যতার বড় আবিষ্কার আগুন হলেও তার ব্যবহারে অসতর্কতা হলে ঘটে যায় তাণ্ডবীয় কর্মকাণ্ড, করে দেয় সবটা ভস্মীভূত। শীতের দিনে আগুন পোহাতে গিয়ে অসতর্কতা কারণে প্রায়ই শোনা যায় আগুন লেগে যায় গায়ে। আগুনের দগ্ধতা কদাচিৎ ক্ষেত্রে অল্পতে রক্ষা করলেও বেশিরভাগ সময়ই এর দহন মারাত্মকভাবে আহত করে অথবা নিয়ে যায় মৃত্যুর কোলে। প্রকৃতি থেকে শীত যদিও বিদায় নিতে চলেছে কিন্তু শীতের তীব্রতা এখনো বেশ পীড়াদায়ক, আর শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধতার খবরও যেন কমছে না। হাসপাতালের বার্ন ইউনিটগুলোতে গেলে অনুভব করা যায় পুড়ে যাওয়া মানুষগুলোর আর্তনাদ আর ছটফটানি। শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধতার ঘটনা বেশি শোনা যায় দেশের উত্তরাঞ্চলের এলাকাগুলোতে। কেননা সেখানকার তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে যায়, যে কারণে সেখানকার মানুষের মধ্যে এ ঘটনাটা বেশি দৃশ্যমান। চারদিকে মনে হয় বরফে জড়িয়ে যায়। জনজীবন হয়ে ওঠে অতীষ্ঠ। শীতার্তরা পাল্লা দিয়ে পেরে উঠে না শীতের সঙ্গে পোশাকে। তার মধ্যে যেসব মানুষ নেই পর্যাপ্ত পোশাক তাদের ভোগান্তির তো শেষই থাকে না। যার ফলে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই। এক্ষেত্রে সমাজের বিত্তবানরা যদি অসহায় শীতার্তদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে এমন দৃশ্য অনেকটা কমে যাবে বলে আশা করা যায়। রাবেয়া সেতু – শিক্ষার্থী, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, বরিশাল। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App