×

জাতীয়

দেশে ইয়াবার প্রথম মামলার রায়, ৫ জনের কারাদণ্ড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৬:৩৭ পিএম

২০ বছর আগে ২০০২ সালের ১৮ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো ইয়াবা জব্দের ঘটনায় দায়ের মামলায় একজনের যাবজ্জীবনসহ ৫ জনের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ আপিল আদালতের (বিশেষ দায়রা আদালত) বিচারক এস এম এরশাদুল আলম মামলাটির রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- শরিয়তপুরের নড়িয়া থানার ছোটপাড়া গ্রামের সামছুল ইসলামের ছেলে সফিকুল ইসলাম ওরফে জুয়েল। যাবজ্জীবনসহ তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মাদক আইনের আরেকটি ধারায় তাকে আরও তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা, তা অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯০ এর ধারা ১৯ এর উপ-ধারা ১ এ সাজা দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে বাকি চার আসামিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯০ এর ২৫ ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- জুয়েলের ভাই রফিকুল ইসলাম, একই গ্রামের সামছুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার মোগড়াপাড়া গ্রামের বাদল সাহার ছেলে সোমনাথ সাহা ওরফে বাপ্পী এবং ডেমরা থানার মাতুয়াইল দক্ষিণ পাড়ার মোজাম্মেল হকের ছেলে এমরান হক। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে দুইভাই জুয়েল ও রফিকুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর তিন আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বিচারকালীন সময় থেকে হাজতবাসে থাকা আসামিদের প্রদত্ত সাজা থেকে বাদ যাবে আর পলাতক আসামিরা ধৃত হওয়ার পর থেকে সাজার মেয়াদ গণণা শুরু হবে। এছাড়া তাদের কাছ থেকে জব্দকৃত মাদক বিক্রির ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন সেট রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর এ এফ এম রেজাউল করিম হিরণ ভোরের কাগজকে বষিটি নিশ্চত করেছেন।

২০০২ সালের ১৮ ডিসেম্বর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজধানীর নিকেতনে সফিকুল ইসলামের বাসায় তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে ইয়াবা, ৪০০ গ্রাম টেট্রা হাইড্রোক্যানাবিনল, তিনটি হেরোইন সেবনের পাইপ, দুই পিস যৌন উত্তেজক অ্যাডেগ্রা ট্যাবলেট, ১২০ পিস মরফিন ও অ্যামফিটামিনযুক্ত মাদক, ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা, ২১ টি পর্ন সিডি, দুটি মোবাইল সেট জব্দ করে। এ ঘটনায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক এনামুল হক গুলশান থানায় মামলা করেন। ২০০৩ সালের ১৪ জানুয়ারি ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর চার্জশিটে উল্লেখিত ১৫ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App