×

আন্তর্জাতিক

স্ত্রীর কাটা মাথা হাতে যুবক রাস্তায়!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:১৯ পিএম

স্ত্রীর কাটা মাথা হাতে যুবক রাস্তায়!

ডান হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ইরানের আহবাজ শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে যুবক। ছবি: সংগৃহীত

ডান হাতে ধারালো অস্ত্র আর বাম হাতে স্ত্রীর কাটা মাথা নিয়ে বুক চিতিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে যুবক! ভয়ংকর এই দৃশ্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে শিউরে উঠেছে গোটা বিশ্ব!

নৃশংস এই ঘটনা ইরানের আহবাজ শহরের। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, মোনা হেইদারি নামের ১৭ বছরের তরুণীকে পরকিয়া সন্দেহে খুন করা হয়েছে। স্বামী ও দেবর মিলে এই নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের খোঁজে বহু জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।

সোমবারের মধ্যেই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনা রীতিমতো আলোড়ন তৈরি করেছে গোটা তেহরানে। এমনকি সে দেশে নারী নিরাপত্তা এবং সংসারের হিংসা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন তুলেছেন বিদ্বজ্জনেরা। মহিলাদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর দাবিও উঠেছে।

গোটা ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যাতে কড়া পদক্ষেপ নেয়া হয়, তার জন্য ইতোমধ্যেই মাঠে নেমেছেন ইরানের নারী কল্যাণ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট। এমন মর্মান্তিক ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য কড়া আইন করার চিন্তাভাবনাও চলছে। বর্তমানে ইরানে ১৩ বছরের মেয়েদের বিয়ে করার আইন রয়েছে। ঘরের হিংসা রুখতে এই বয়স বাড়ানোর যায় কি না, সে বিষয়টিও ভেবে দেখা হবে।

এদিকে কাটা মুণ্ডুর ভিডিও দেখে শিউরে উঠে অনেকেই এর নিন্দা জানিয়েছেন। জানা গেছে, ১২ বছর বয়সে অর্থাৎ নাবালিকা অবস্থাতেই মোনার বিয়ে হয়েছিল। তিন বছরের এক ছেলেও ছিল তার। কিন্তু পরকিয়া সন্দেহে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারের শিকার হন মোনা। আর শেষমেশ ঘটল এই মর্মান্তিক পরিণতি। ইরানের এক আইনজীবী জোরালো গলায় বলেছেন, আইনের গলদের কারণেই অনার কিলিং বা সম্মান রক্ষার্থে খুনের ঘটনা এখনও ঘটছে। তাই আইনের দ্রুত পরিবর্তন জরুরি। নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনকে আরও বেশি কঠোর হওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App