সারা দেশে নদী উদ্ধার অভিযান জোরদার করতে মন্ত্রণালয়কে জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে তথ্য নেবার সুপারিশ করেছে জাতীয় সংসদের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে দখলদারদের হাত থেকে নদী উদ্ধার করতে জেলা পর্যায়ে কী ধরনের যন্ত্রপাতি লাগবে এবং এজন্য কত টাকা লাগবে, জেলা প্রশাকদের কাছ থেকে তা জেনে নিতে বলেছে কমিটি। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য আছলাম হোসেন সওদাগর বলেন, অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে নদী উদ্ধারে যে ধরনের যন্ত্রপাতি লাগবে সেটার তথ্য সংগ্রহের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছি। এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের তথ্য নিতেও বলা হয়েছে। কারা কারা নদী দখল করে আছে, সেখানে কী ধরনের অভিযান চালাতে হবে তার জন্য যন্ত্রপাতিসহ কী ধরনের সহায়তার প্রয়োজন তা ডিসিদের কাছ থেকে জেনে নেবার কথা বলেছে কমিটি।
বৈঠকে অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা জানান, অনেক দখলদার নদীর তীরের বড় অংশের জমি দখল করে আছে। সেটা অপসারণ করতে যে ধরনের যন্ত্রপাতির প্রয়োজন, সেগুলো সব জায়গায় নেই। এতে উচ্ছেদে দেরি হয়। তাছাড়া অর্থসহ ফোর্সেরও দরকার সেগুলো জেনে নিয়ে সে অনুযায়ী নদী উদ্ধার কার্যক্রম তরান্বিত করতে মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।
এদিকে জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন সব জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দেশের নদ-নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা করেছে। সারাদেশে ৬৫ হাজার ১২৭ জন অবৈধ দখলদার রয়েছে। তাদের উচ্ছেদে অভিযানও চলছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার ৮৭৪ জন অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মো. মজাহারুল হক প্রধান, রনজিত কুমার রায়, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর ও এস এম শাহজাদা অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।