সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আট ইউনিয়ন পরিষদের ৩টিতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সমর্থিত এবং ৪টিতে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল সমর্থিত ও ১ টিতে জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত চেয়ারম্যান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে কাউকে দলীয় প্রতীক নৌকা দেয়া হয়নি। তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে আট ইউনিয়নে আলাদা আলাদা প্রার্থী দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১নং সিরাজপুর ইউনিয়নে নাজিম উদ্দিন মিকন, ৩ নং চর হাজারী ইউনিয়নে মহি উদ্দিন সোহাগ, ৭ নং মুছাপুর ইউনিয়নে আইয়ুব আলী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এরা তিনজনই কাদের মির্জার অনুসারী। অপরদিকে বেসরকারি ফলাফলে ৪ নং চরকাঁকড়া ইউনিয়নে হানিফ সবুজ, ৫ নং চর ফকিরা ইউনিয়নে জায়দল হক কচি, ৬ নং রামপুর ইউনিয়নে সিরাজিস সালেকিন রিমন, ৮ নং চর এলাহি ইউনিয়নে আবদুর রাজ্জাক নির্বাচিত হয়েছেন। এরা চারজন মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী। অন্যদিকে ২ নং চর পার্বতী ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত মোহাম্মদ হানিফ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সপ্তম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য আট ইউনিয়নে ৩৯ জন চেয়ারম্যান, ৩০৫ জন সাধারণ সদস্য এবং ৭৯ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আট ইউনিয়নের ৭৮ টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিল সংখ্যা ১ লাখ ৮২ হাজার ৫২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৩ হাজার ৭৫৭ জন এবং নারী ভোটার ৮৮ হাজার ৭৭১ জন।