×

সারাদেশ

সাগরে ট্রলার ডুবি: ১১ ট্রলারসহ ১৪৪ জেলে উদ্ধার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৫:৩০ পিএম

পাথরঘাটা থেকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় দমকা হাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মধ্যে একদিন পর ১১ ট্রলারসহ ১৪৪ জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি ও সুন্দরবনের দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সার্বিক মনিটরিংয়ে ওই জেলেদের উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে সুন্দর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ের কবলে পরে ২৫টি জেলে ট্রলার ডুবে যায়। ওই ট্রলার ডুবির ঘটনায় ২৭ জেলে নিখোঁজ হয় বলে জেলে ট্রলারমালিক সমিতি সূত্রে জানানো হয়।

শনিবার সন্ধ্যার পরে ডুবে যাওয়া ট্রলারের দুইজন জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া নিহত মামুন শেখের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় এবং ইসমাইল শেখের বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার জানখালী এলাকায় বলে জানা গেছে।

মামুন শেখ ছিলেন এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারে এবং ইসমাইল শেখ ছিলেন এফবি জামিলা খাতুন নামক মাছধরা ট্রলারে। ঝড়ের তান্ডবে সমুদ্রবক্ষে ট্রলার উল্টে যাওয়ায় মামুন ও ইসমাইল ট্রলারের পাটাতনের মধ্যে ঢুকে যায় বলে ট্রলার মালিক সমিতি সূত্রে বলা হয়েছে।

শুক্রবার রাতের ওই ঝড়ে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় ১৮টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেলে ট্রলারে থাকা অধিকাংশ জেলেরাই সাতরিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে সক্ষম হন। তারপরও বেশ কয়েকজন জেলে নিখোঁজ হন। শনিবার সকাল থেকে স্থানীয় জেলে, বনবিভাগের সদস্যগণ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। এ পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া দুই জেলের মৃতদেহ তাদের স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনার পর বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি ও দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সমন্বয়ে প্রায় শতাধিক ট্রলার উদ্ধারের জন্য সাগরে রয়েছে। এখনো অনেক জেলে ও ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে।

এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের উদ্ধার অভিযান অব্যহত রয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ১১ ট্রলার ও ১৪৪ জেলে উদ্ধার ব্যক্তিগত উদ্যোগে হতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনোও পর্যন্ত জানা যায়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App