×

জাতীয়

বায়ু দূষণে ঝুঁকিতে প্রজনন স্বাস্থ্য

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:১৭ এএম

বায়ু দূষণে ঝুঁকিতে প্রজনন স্বাস্থ্য

প্রতীকী ছবি

দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৫৪ জেলার বায়ুর মান আদর্শ মাত্রার চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে। আদর্শ মাত্রার মধ্যে আছে মাত্র ১০ জেলার বায়ু। এই অতিরিক্ত বায়ু দূষণের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়ছে মানুষের প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর।

সম্প্রতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) জরিপে এ তথ্য পাওয়া যায়। গবেষকরা জানান, অতিরিক্ত দূষিত অঞ্চল হিসেবে দেশের ১৮ জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার।

সর্বোচ্চ বায়ু দূষণ পরিমাপ করা হয়েছে গাজীপুরে। এরপর ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ। এই দুই জেলায় বায়ুতে অতি ক্ষুদ্রকণার মাত্রা দেশের আদর্শ মান প্রতি ঘনমিটারে ৬৫ মাইক্রোগ্রামের চেয়ে চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি। বায়ু দূষণের কারণ হিসেবে গবেষকরা জানান, সবচেয়ে দূষিত ওই তিনটি শহরে অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ কাজ ও সমন্বয়হীন সংস্কার কাজ ও সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি অব্যাহত রয়েছে।

দূষণের আরও কারণ হিসেবে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আশেপাশের ইটভাটা, ছোট-বড় কয়েক হাজার শিল্প কারখানা, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কালো ধোঁয়া এবং ময়লা-আবর্জনা পোড়ানো।

অন্যদিকে, বায়ু দূষণের জন্য দায়ী অতি ক্ষুদ্রকণা সেটি আদর্শ মাত্রায় আছে শুধু ১০ জেলায়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন বায়ু দূষণ হয় মাদারীপুর, পটুয়াখালী ও মেহেরপুরে।

আবার যেসব অঞ্চলে বায়ু দূষণ কম সেখানে তারা এর কারণ হিসেবে রাস্তাঘাটে জ্বালানি তেলে চালিত যানবাহনের সংখ্যা, ইটের ভাটা কম থাকাকে চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা।

বাড়ছে প্রজনন স্বাস্থ্যঝুঁকি

বিশ্বব্যাপী যেসব অসংক্রামক রোগে মানুষের সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে- তার অধিকাংশই বায়ু দূষণজনিত। গবেষকরা জানান, সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের কয়েকটি শহরে বায়ু দূষণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সেখানে বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এই অতি ক্ষুদ্রকণা এতোটাই ক্ষুদ্র যে এটি সহজেই মানুষের চোখ-নাক-মুখ দিয়ে ঢুকে রক্তের সঙ্গে মিশে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুসফুস, হৃদপিণ্ড, কিডনি ও লিভার। তবে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে প্রজনন স্বাস্থ্যে। গর্ভপাত, জন্মগত ত্রুটি, শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে বায়ু দূষণ বড় ধরণের প্রভাব ফেলে বায়ু দূষণ।

এ বিষয়ে চিকিৎসক রাশিদা বেগম বলেন, বায়ু দূষণের ভয়াবহ প্রভাব মানুষের প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর পড়ছে। এর ফলে পুরুষের শুক্রাণু তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটছে, কমে যাচ্ছে শুক্রাণুর মান। অন্যদিকে মেয়েদের ডিম্বাণুও কমেছে কল্পনাতীতভাবে। আবার যেসব ডিম্বাণু আছে, সেগুলোও ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এসব দুর্বল বা নষ্ট ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর যখন নিষেক ঘটে এতে যে ভ্রূণ তৈরি হয় সেটা গর্ভে জায়গা করতে পারে না। আবার জায়গা করতে পারলেও গর্ভপাত হয়ে যায়। আর এ সমস্যা প্রজন্মান্তরে চলতে পারে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App