শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘অনলাইন বা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ইফেকটিভ করতে হলে প্যাডাগোজির বিষয়ে আমাদের অনেক বেশি জোর দিতে হবে। কারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকের ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশন হতে হবে। তাহলে পাঠদানের উদ্দেশ্য সফল হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (সিইডিপি) আওতায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের ১৮তম ব্যাচের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্যাডাগোজির ওয়ার্কশপে অনলাইন প্লাটফর্ম জুম অ্যাপে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী একথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, একটি বিষয় মনে রাখতে হবে এখন আর জ্ঞানের উৎস কেবল শিক্ষকই নন। আরো অনেক উৎস আছে। যত উন্নত মানের টিচিং হবে ততো উন্নত মানের লার্নিং হবে। শিখন-শেখানোর পদ্ধতিতে অনেক পরিবর্তন আসছে। সেটি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল লিটারেসি, সফট স্কিলস-এসব শেখাতে হবে।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, আমাদের সফলতার স্বর্ণশিখরে থাকতে হবে এটাতে কোনো সন্দেহ নাই। বঙ্গবন্ধুর শূন্যতা আমরা অনুভব করি। আমাদের জাতীয় জীবনে যদি ৭৫ না আসত, তাহলে হয়তো আমরা এখন প্যাডাগোজি শিখতাম না। অনেক আগেই হয়তো আমরা সেটি শিখে ফেলতাম।

উপাচার্য আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের এই গতিধারায় শিক্ষার আলোয় উদ্ভাসিত একটি অনন্য জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি আমাদের আকাঙ্ক্ষা। যেটি মানবিক হবে। দুর্দমনীয় হবে। গতিশীল হবে। অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার পাবে। এসব কারণেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সবকিছুর পাশাপাশি স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস অবশ্যপাঠ্য করেছে। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে প্রযুক্তিকে অবশ্য পাঠ্য করে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন, স্নাতকপূর্ব শিক্ষাবিষয়ক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দিন, রিসোর্স পার্সন হিসেবে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. দিবা হোসেন প্রমুখ।