×

খেলা

কুমিল্লা- চট্টগ্রাম ম্যাচে বৃষ্টি হানা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭:৩৪ পিএম

কুমিল্লা- চট্টগ্রাম ম্যাচে বৃষ্টি হানা

বৃহস্পতিবার সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ৩১ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কার সাহায্যে ৪৩ রান করে আউট হন সৌম্য সরকার

কুমিল্লা- চট্টগ্রাম ম্যাচে বৃষ্টি হানা

রানের জন্য প্রান্ত বদল করছেন খুলনা টাইগার্সের সৌম্য সরকার ও আন্দ্রে ফ্লেচার

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) তৃতীয় পর্বের আজ সন্ধ্যায় মুখোমুখি হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। টস জিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস চট্টগ্রামের অধিনায়ক নাঈম ইসলামকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। ১২.৫ ওভারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ২ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান সংগ্রহ করলে হঠাৎ মাঘের শেষে ঝুম বৃষ্টি শুরু হলে ম্যাচ বন্ধ ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উইল জ্যাকস ৫১ রানে এবং শামীম পাটোয়ারি ২৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট সানরাইজার্সকে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে খুলনা টাইগার্স।

[caption id="attachment_333026" align="aligncenter" width="700"] রানের জন্য প্রান্ত বদল করছেন খুলনা টাইগার্সের সৌম্য সরকার ও আন্দ্রে ফ্লেচার[/caption]

বৃহস্পতিবার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আন্দ্রে ফ্লেচার ও সৌম্য সরকারের ব্যাটিং ঝলকে নয় উইকেটে মোসাদ্দেক-মিথুনদের হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে সিলেট সানরাইজার্সকে ব্যাটিংয়ে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানায় মুশফিকুর রহিম। প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে রীতিমত চেপে ধরে খুলনার টাইগার্সরা। তৃতীয় ওভারেই সিলেট শিবিরে আঘাত হানে খালিদ আহমেদ। ১০ বলে ৪ রান করা এনামুলকে নাবিল সামাদের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরার খালিদ। তারপর থিতু হয়ে খেলতে গিয়ে রান পাওয়ার প্লে’তে পাওয়ার অ্যাপ্লাই করতে পারেনি সিলেট। ১২ রানে এনামুলকে হারানো পর দলীয় ২৪ রানে হারিয়েছে ক্যারিবিয় ওপেনার ল্যান্ডন সিমন্সকেও। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে মাহেদি হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৯ বলে ৬ রান করে আউট হয়েছে সিমন্স। সিলেটের এক বিদেশিকে হারানোর পর দ্বিতীয় বিদেশিকেও হারাতে হয়েছে মাত্র দশ রান পরেই। ইনিংসের নবম ওভারে নাবিল সামাদের বলে ব্যাক্তিগত ২ রানে এলবিডব্লিউর ফাদে পড়েন ইনগ্রাম। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা সিলেটের উইকেটের লাগাম টেনে ধরেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক ও মিথুন । মিথুনের ৭২ ও মোসাদ্দেকের ৩৪ রানের উপর ভর করে ্একটি ভালো সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল সিলেট । সেই মুহূর্তে দুইজনকে আটকে দেয় আবারও খালিদ আহমেদ। দলীয় ১০২ রানের মাথায় জাকির আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে মোসাদ্দেককে সাজঘরে ফিরতে বাধ্য করেন খালিদ আহমেদ। তারপর সিলেটের শেষ আর একটি উইকেটের পতন হয়েছিল। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে সৌম্য সরকারের বলে ব্যাক্তিগত ৭২ রানে মাহেদি হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মিথুন আলী।

নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৪২ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। মিথুনের ৭২ রানই সিলেটের সর্বোচ্চ রান। দ্বিতীয় সর্বেচ্চ রান এসেছিল অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাটে। এছাড়া বাকি সবাই সিঙ্গেল ডিজিটেই থেকে গিয়েছেন। অপরদিকে, খুলনার হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছে খালিদ আহমেদ এবং একটি করে উইকেট নিয়েছে নাবিল সামাদ, কামরুল ইসলাম রাব্বি এবং সৌম্য সরকার। ১৪৩ রানের জবাবে দুই ওপেনারের ফুলকিতে সহজেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে খুলনা টাইগার। দুই ওপেনারের উদ্বোধনী ঝুটিতে খুলনার স্কোরবোর্ডে যুক্ত হয়েছে ৯৯রান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের শুরুর দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি সৌম্য সরকার। চট্টগ্রাম পর্বে ৩ ম্যাচ খেলে সর্বসাকুল্যে মাত্র ১৪ রানের দেখা পেয়েছেন। চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করে ঢাকায় এসেই রানে ফিরেছেন জাতীয় দলের এই ওপেনার। কোনো উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে সৌম্য-ফ্লেচার তুলে নেয় ৬৫ রান। সিলেটের বোলারদের নখদন্তহীন বোলিংয়ের ফায়দা বেশ ভালোভাকে কাজে লাগিয়েছে সৌম্য সরকার। রান খরায় ভুগতে থাকা এ বাঁহাতি আলগা বল পেয়ে সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ছুটছিলেন ফিফটির দিকে। দীর্ঘদিন পর রানে ফেরা সৌম্যকে অর্ধশত করতে বাধা হয়ে দাড়ায় নাজমুল অপু। ৩১ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ব্যাক্তিগত ৪৩ রানে জুবায়ের হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরতে বাধ্য করে সৌম্যকে। সৌম্য অর্ধশত তুলতে না পারলেও সে মাঠে থাকাকালীনই অর্ধশত তুলে নিয়েছিলেন ক্যারিবিয় ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার। মাত্র ৩৪ বলেই ব্যাক্তিগত অর্ধশতের তুলে নিয়েছে তিনি। সৌম্য সরকার আউট হওয়ার পর মাঠে এসেই আবারো ঝড় তোলেন লংকান অলরাউন্ডার থিসারা পেরারা। পয়েন্ট টেবিলের উপরের দিকে উঠে আসার জন্য প্রয়োজন তাদের রান নেট বৃদ্ধি। সেই লক্ষ্যে আর কোন উইকেট না হারিয়ে জয়ের বন্দরে নৌকা ভেড়ায় খুলনা। ৩৪ বল হাতে রেখেই ৯ উইকেটের এক বিশাল জয় পেয়ে যায় খুলনা টাইগার্স। পাঁচটি করে চার ও ছয়ে ৪৭ বলে এর অসাধারন অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন আন্দ্রে ফ্লেচার। অপরদিকে ওয়ানডাউনে ব্যাটিংয়ে আসা থিসারা পেরারা ২২ রান করেছেন মাত্র ৯ বল মোকাবিলা করে। সিলেটের হয়ে একটি মাত্র উইকেট নিয়েছেন নাজমুল অপু। গতকাল খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সিলেট সানরাইজার্সের হয়ে একাদশে ছিলেন না দলের অন্যতম পেসার তাসকিন আহমেদ। ইতোমধ্যে নানা গণমাধ্যম প্রচারিত হয়েছে বিপিএলের সম্পূর্ন টাকা না পেলে তাসকিন আর খেলবেনা। কিন্তু এই আসরের প্রতিটিই ফ্র্যাঞ্চাইজিই খেলোয়াড়দের মূল্য বিসিবিকে আগে থেকে দিয়ে নিয়েছে। সেখানে থেকে প্রতিটি খেলোয়াড় প্রথমে ৫০ শতাংশ, খেলা চলাকালীন ২৫ শতাংশ এবং খেলার শেষে ২৫ শতাংশ পাবেন।

পোর্টালগুলোতেও এ বিষয়টিও বলা হয়েছে যে, তাসকিন এই বণ্টনের বিষয়টি জানতেন না। জানার পর তিনি তার দাবি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এদিকে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে জানা গেছে তাসকিনের পিঠে ব্যাথা। গত দুদিন অনুশীলনেও আসেননি। পিঠের ব্যাথার কারণেই আজ সিলেটের হয়ে খেলা সম্ভব হয়নি দেশের অন্যতম দ্রুত গতির বোলারের। এই জয় নিয়ে ৬ ম্যাচে ৩ জয় ও ৩ পরাজয় নিয়ে মোট ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৫ থেকে চারে উঠে এসেছে খুলনা টাইগার্স। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ফরচুন বরিশাল। ৪ ম্যাচে মাত্র এক পরাজয় নিয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। খুলনার মতো ৬ ম্যাচেই ৩ জয় ও ৩ পরাজয় নিয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App