×

শিক্ষা

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে 'চাষাভুষার টং' চালু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:২৪ পিএম

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে 'চাষাভুষার টং' চালু

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে চাষাভুষা টংয়ের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি: ভোরের কাগজ

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে অহিংস আন্দোলনের অংশ হিসেবে 'চাষাভুষার টং' নামে একটি টং দোকান চালু করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। চাষাভুষার টং ছাড়াও আরও ৪টি টং দোকান তৈরির কাজ চলছে।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন 'বি' এর পাশে স্থাপিত এ দোকানের উদ্বোধন করেন শিক্ষার্থীরা।

টং দোকান স্থাপনের বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদীন বলেন, টং দোকানগুলোতে আমরা সাধারণত স্বল্পমূল্যে খাবার খেয়ে থাকি। পাশাপাশি, এ উন্মুক্ত পরিবেশে আমরা আড্ডা-যুক্তিতর্কের মাধ্যমে নিজেদের বিকশিত করার সুযোগ পাই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দীর্ঘদিন এটা বন্ধ রাখায় আমাদের চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা এটা পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেই।

টং নাম ‘চাষাভূষার টং’ রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. লায়লা আশরাফুন এক বক্তব্যে চাষাভুষা শ্রেণিকে অপমান করেছিলেন। অথচ, তারাই সভ্যতার বিকাশে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। এজন্য তাদের সম্মানে আমরা এ টংয়ের নাম ‘চাষাভূষার টং’ রেখেছি।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনের সময় থেকে বিভিন্ন সময়ে টং দোকানগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। এছাড়া, করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি টং দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলেও অধিকাংশ টং দোকান বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ৩টি টং দোকান এবং ফুডকোর্ট চালু রয়েছে। তবে বাকিগুলোকে শিক্ষার্থীদের দাবি থাকা স্বত্ত্বেও আর খুলে দেইনি প্রশাসন।

এদিকে উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনের মাঝে আবারো টং দোকান বন্ধের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে টং দোকান স্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীরা পূর্বে উচ্ছেদকৃত টং দোকানগুলো পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের সামনে এ টং দোকানগুলো স্থাপন করা হবে। এ দোকানগুলোর নাম ‘বাঁশ বাগান’, ‘চাষাভুষা’, ‘ওরা আটাশ’, ‘অর্বাচীন’ ও ‘লিচুতলা’ হতে পারে বলে জানান আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App