×

পুরনো খবর

মানবতাবিরোধী অপরাধ: শাখাওয়াতের মামলা অকার্যকর ঘোষণা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৩:৫৬ পিএম

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত শাখাওয়াত হোসেন ও বিল্লাল বিশ্বাস মারা যাওয়ায় তাদের মামলা অ্যাবেট (অকার্যকর) ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

২০১৬ সালের ১০ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাখাওয়াত হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয় ট্রাইব্যুনাল। একই মামলার ৮ আসামির মধ্যে কেশবপুরের অন্য ৭ জনকে দেওয়া হয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ড।

তারা হলেন- শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, মো. আব্দুল আজিজ সরদার, মো. আজিজ সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম ও মো. আব্দুল খালেক মোড়ল। একই মামলার ওই ৮ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার ছিলেন সাখাওয়াত হোসেন ও মো. বিল্লাল হোসেন। বাকি ৬ জন পলাতক আছেন। গ্রেপ্তার ২ জন এ মামলার রায়ের পরে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালে বিল্লাল এবং ২০২১ সালে সাখাওয়াত মারা যান।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে ইসলামী ছাত্রসংঘ নেতা সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে যশোরের কেশবপুরের রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার। বাকী আসামিরাও ছিলেন একই বাহিনীর সদস্য।

সাখাওয়াতের নেতৃত্বে কেশবপুরের চিংড়া, বগা, ভাণ্ডারখোলা, নেহালপুর, হিজলডাঙ্গা, গৌরীঘোনা ও ভাল্লুকঘরসহ বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, বাড়ি-ঘরে হামলা, লুটপাট অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন তারা। তাদের অত্যাচার-নির্যাতনে এলাকার সংখ্যালঘুরাও দেশত্যাগে বাধ্য হন।

দেশ স্বাধীনের পর ১৯৯১ সালে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন সাখাওয়াত। এরপরে এমপি থাকা অবস্থায়ই ১৯৯৫ সালে তিনি জামায়াত ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দেন। দায়িত্ব পালন করেন বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন তিনি। ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে নির্বাচন করে সাখাওয়াত পরাজিত হন।

২০০১ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন। পরে সাখাওয়াতকে দল থেক বহিস্কার করে বিএনপি। ২০০৬ সালে বিকল্পধারায় যোগ দেন তিনি। এলডিপি ও পিডিপি হয়ে তিনি এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। সর্বশেষ সাখাওয়াত জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App